আসিফ মাহমুদের গুলির ম্যাগাজিন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রশ্ন
- ১০ জুলাই ২০২৫, ০০:১৫
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক বিদেশি সাংবাদিক। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিমানবন্দরে ভুল করে গুলির ম্যাগাজিন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা।
সাংবাদিক আরও প্রশ্ন তোলেন ঢাকার খিলক্ষেতে সরকারি জমিতে অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা হিন্দু মণ্ডপ উচ্ছেদের প্রসঙ্গ নিয়েও। একইসঙ্গে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক কোয়াড বৈঠকের প্রেক্ষাপট।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তামি ব্রুস এসব প্রশ্নের কোনোটি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করে কৌশলী জবাব দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিককে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতি দেখার পরামর্শ দেন।
সাংবাদিক প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি কোয়াড জোটের বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার সব অধিকার ভারতের আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এ বিষয়টি বিবেচনা করে, আর গত সপ্তাহে বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের লাগেজে পাওয়া গোলাবারুদ এবং খিলক্ষেতে হিন্দু দুর্গা মন্দির ভাঙার বিষয়টি বিবেচনা করে, আপনার প্রতিক্রিয়া কী?’
জবাবে মার্কিন মুখপাত্র তামি ব্রুস বলেন, ‘আমি জানি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জটিল কিছু ইস্যু রয়েছে। আরও তথ্যের জন্য আমি আপনাকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট দেখতে বলব, যেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্কো রুবিওর বক্তব্যসহ যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। ওই বৈঠক নিয়ে এটুকুই বলতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত বা অন্য কোনো দেশের বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য ব্যাখ্যা করব না। কারণ এটি কূটনৈতিক বিষয়। বিস্তারিত জানতে যৌথ বিবৃতি দেখুন।’
এদিকে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের তথ্য ছিল বিভ্রান্তিকর। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজেই স্পষ্ট করেছেন, তিনি ভুলবশত তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের একটি ম্যাগাজিন বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়েছিলেন, যা পরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হয়।
ফেসবুকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে। এর উদ্দেশ্য সরকারি সিকিউরিটি যখন থাকে না, তখন নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেছেন, ‘প্যাকিং করার সময় অস্ত্র সহ একটা ম্যাগাজিন রেখে আসলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়। যেটা স্ক্যানে আসার পর আমার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি। বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল।’
অন্যদিকে জানা যায়, খিলক্ষেতে কোনো মন্দির ভাঙা হয়নি; বরং সরকারি জায়গায় অনুমতি ছাড়া নির্মিত একটি মণ্ডপ বারবার নোটিশ দেওয়ার পর উচ্ছেদ করা হয়েছে।