নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘তারুণ্যের উৎসব’
- ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:১৮
দেশে তারুণ্যের শক্তিকে উজ্জীবিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলমান ‘তারুণ্যের উৎসব’ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে "তারুণ্যের উৎসব" বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ "তারুণ্যের উৎসব" আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ২৫টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় উৎসবের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং সুষ্ঠু ও বিস্তৃত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, উৎসবকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সার্কসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনকে যুক্ত করার উদ্যোগ এবং একটি "গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট" আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা তারুণ্যের উৎসব দেশজুড়ে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। এই উৎসব তরুণদের মধ্যে ঐক্যের বোধ, সহযোগিতার মনোভাব এবং আত্মকর্মসংস্থানের অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলছে, যাতে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করা হলেও সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উৎসবের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উৎসবের প্রথম পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-তরুণী সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, যাদের মধ্যে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন নারী ছিলেন। আয়োজিত ১৩ হাজার ৭১১টি ইভেন্টের মধ্যে নারীদের জন্য দুই হাজার ৯৩১টি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি উদ্যোগ, যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং ২৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য ও সহযোগিতার চেতনাকে জাগ্রত করা, তরুণদের উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এবং স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ইতিবাচক উদ্যোগগুলোকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরাই এই উৎসবের মূল লক্ষ্য।