টানা বৃষ্টির দিনে মন ভালো করার ৫ দারুণ উপায়
- ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০১
রাজধানীসহ দেশের নানা অঞ্চলে এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে এই বৃষ্টি যেমন স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাতায়াতে কিছুটা ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠছে, অন্যদিকে দীর্ঘ তাপদাহের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সবাই। প্রকৃতির এই শীতল পরশ একঘেয়েমি কাটিয়ে মনকে করে তোলে প্রশান্ত ও প্রাণবন্ত।
বৃষ্টির দিনে অনেক সময়ই আমাদের দীর্ঘক্ষণ ঘরে বসে থাকতে হয়। বাইরে বের হওয়া যায় না, কাজের গতি কমে আসে। ফলে, একঘেয়েমি আর বিরক্তি যেন চারপাশ ঘিরে ধরে। তবে চাইলে এই সময়টিকেই করে তোলা যায় আনন্দদায়ক ও অর্থবহ। বৃষ্টিমুখর দিনে নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু ছোট্ট আয়োজন আপনার মন ভালো করে দিতে পারে।
চলুন দেখে নিই, বৃষ্টিভেজা দিনে কীভাবে সময়টা আরও উপভোগ্য করে তুলতে পারেন-
গান আর ফুলে জাগুক বৃষ্টির সকাল
বৃষ্টির দিনে একটা রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি কিংবা আবহাওয়াসম্মত নরম সুরের গান পুরো পরিবেশকেই করে তুলতে পারে আরও রোমান্টিক ও আরামদায়ক। ঘরের কোণায় একটুখানি ফুলের ছোঁয়া দিন, ফুলদানিতে রাখুন তাজা গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা বা গোলাপ। সুগন্ধে ভরে উঠবে মন, দিন হবে আরও প্রাণবন্ত।
পেটপুরে খাওয়া হোক বিশেষ আয়োজনে
বৃষ্টির দিনে খাবারের টেবিলে আনুন একটু বৈচিত্র্য। তৈরি করে ফেলুন খিচুড়ি আর গরুর মাংস, মসলা চা, হট স্যুপ, নুডলস, চানাচুর-মুড়ি বা চাইনিজ ভেজিটেবল। পরিবারের সবাইকে নিয়ে হোক জম্পেশ এক ‘বৃষ্টি স্পেশাল’ মেনুতে ভরপুর খাবারদাবার।
কবিতা, চা আর আড্ডায় ভেজা বিকেল
বিকেলের বারান্দায় বসে হালকা ঠান্ডা হাওয়া গায়ে মেখে পড়তে পারেন প্রিয় কোনো কবিতা। সঙ্গে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা। চাইলে প্রিয়জনদের সঙ্গে বসে জমিয়ে তুলতে পারেন আড্ডা, বই, সিনেমা বা সাহিত্য নিয়ে গল্প জমবে দারুণ।
চিঠিতে হোক মনের কথা প্রকাশ
ব্যস্ততার ভিড়ে প্রিয়জনকে হয়তো সময় দেওয়া হয় না ঠিকঠাক। বৃষ্টির ফাঁকে লিখে ফেলতে পারেন একটি চিঠি, স্মৃতিভরা, আবেগময়, মনের গভীর কথাগুলো দিয়ে সাজানো। ডায়েরির পাতায় জমা হোক সম্পর্কের এক নরম ছোঁয়া।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় হোক মুক্ত এক মুহূর্ত
যদি সুযোগ থাকে, বেরিয়ে পড়ুন বৃষ্টিতে। ভিজে নিন একটুখানি, হোক সেটা ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে অথবা বারান্দা থেকে হাত বাড়িয়ে। বৃষ্টির শীতল স্পর্শ শরীর জুড়িয়ে দেবে, মন হয়ে উঠবে হালকা ও প্রশান্ত। একটুখানি ভেজা মনকেই করে তুলবে এক নতুন উদ্যমে ভরপুর।
সব শেষে বলতেই হয়, প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো যেমন নিরাময়, তেমনি আত্মার খোরাকও। বৃষ্টির দিনে নিজেকে দিন একটু বাড়তি যত্ন আর ভালোবাসা, যাতে প্রকৃতির ছন্দে মিলিয়ে যায় জীবনের সুরটাও।