বিধবাকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা
- ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৫
ভোলার তজুমদ্দিনে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (০৬ জুলাই) বিকেলে তজুমদ্দিন থানায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁচড়া গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালাম ফরাজির ছেলে গিয়াস ও আলম চৌধুরীর ছেলে রাসেল। তারা এক সময় আওয়ামী যুবলীগের সাথে জড়িত ছিল।
ভুক্তভোগী নারী ভাষ্যমতে, গত ১০ জুন তার বাবা-মা নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ভুক্তভোগী তার ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিল। ওইদিন মধ্যরাতে ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা গিয়াস তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং রাসেল ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই নারী ঘর থেকে বের হলেই তাকে বাজে ইঙ্গিত করতেন তারা। একই সাথে তাদের সাথে স্বেচ্ছায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ালে তার ভাইকে গাঁজা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।এতোদিন ভুক্তভোগী প্রাণভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখলেও গতকাল বিষয়টি সে তার পরিবারকে জানায়। ভুক্তভোগী নারী জানান, গিয়াসউদ্দিন ও রাসেল আগে আওয়ামী লীগ করতেন আর এখন সদ্য বহিষ্কৃত ইউনিয়ন বিএনপি সেক্রেটারি ইব্রাহিম হাওলাদারের কর্মী বলে দাবি করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই ও মামলার বাদী বলেন, গিয়াস ও রাসেল আমাদের প্রতিবেশী। গত ১০ জুন বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গিয়াস আমার বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং রাসেল সে ভিডিও ধারণ করে রাখে। আমার বোন বিষয়টি এতোদিন গোপন রাখায় আমরা জানতে পারিনি। তাদের বিচারের দাবিতে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেছি। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির দাবিও জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলেও তাদের পাওয়া যায়নি,ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মহব্বত খান বলেন, ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে গিয়াস ও রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।