ঘুষ দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, এসআই প্রত্যাহার

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফুটেজের একটি অংশ
ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফুটেজের একটি অংশ © সংগৃহীত

ফেনীর পরশুরামে অভিযোগকারীর কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর পরশুরাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ছৈয়দকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্, অ.দা.) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এর আগে বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় উপপরিদর্শক (এসআই) আবু ছৈয়দের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে জেলাজুড়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়ায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের পাশে আবদুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে এসআই আবু ছৈয়দের সাথে টাকা লেনদেন হয়। সেটির সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পৌর এলাকার অনন্তপুরে পান্না আক্তারের সাথে আবদুস সাত্তারের বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আবদুস সাত্তার গত ২২ জুন পরশুরাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে পান্না আক্তার আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আবু ছৈয়দ। বিষয়টি তদন্ত করতে আবদুস সাত্তারের বাড়িতে যান এসআই আবু ছৈয়দ। সেখানে তাকে টাকা হাতে দিতে দেখা যায় অভিযোগকারী আবদুস সাত্তারকে। পরে সে টাকাগুলো হাতের তালুতে নিয়ে চেক করতে দেখা যায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে।

তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত উপপরিদর্শক আবু ছৈয়দ বলেন, সাত্তার আমাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করলে তখন আমি নিজের পকেটে থাকা টাকা বের করে সাত্তারকে দেখিয়ে বলেছি, টাকা আমার কাছে আছে, টাকা লাগবে না। এখানে কোনো ধরনের টাকা লেনদেন বা এমন কিছু হয়নি।

এদিকে আবদুস সাত্তার এসআই আবু ছৈয়দকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে কত টাকা দিয়েছেন, সেটি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্, অ.দা.) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে উপপরিদর্শক আবু ছৈয়দকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।