বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে যা জানা গেল
- ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৫
বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার (০২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সভায় বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সভার রেজ্যুলেশন বের হওয়ার আগে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আপনারা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করুন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. জামির হোসেন বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আমাদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা দ্রুত এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই।’
জানা গেছে, দেশের ৩১৫টি বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষকের এমপিওভুক্তির দাবি দীর্ঘদিনের। ৩২ বছর ধরে বঞ্চিত এসব শিক্ষক বিভিন্ন সরকারের সময় দাবি জানিয়েও জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় কয়েক দফা বৈঠক করেও বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা যায়নি।
জানা যায়, বেসরকারি কলেজের জনবল কাঠামো অনুযায়ী ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোয় ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এই কারণে কলেজগুলোর জনবল কাঠামোতে স্থান পায়নি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের পদ। ফলে সরকারি বিধিবিধানের আলোকে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হন তারা। অবশেষে এই বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।