পুলিশে সুপারিশ পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের স্বর্ণা, বললেন— ‘বিসিএস ছাড়া কোনো চাকরিতে আবেদন করিনি’

সাবিনা ইয়াছমিন স্বর্ণা
সাবিনা ইয়াছমিন স্বর্ণা © সংগৃহীত

সাবিনা ইয়াছমিন স্বর্ণা। ৪৪তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার মেধাক্রম ৪৩। এর আগে, তিনি ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ৪১তম বিসিএস থেকে শুরু করে টানা ৫টি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

স্বর্ণার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। টানা দুই বিসিএসে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে স্বর্ণা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। এজন্য অন্য কোনো চাকরিতে আবেদন পর্যন্ত করিনি। স্বপ্ন ছিল পুলিশ ক্যাডার হওয়ার। আল্লাহ আমার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এই অর্জন বহু পরিশ্রম, ত্যাগ আর ধৈর্যের ফসল।’

তিনি আরও বলেন, ‘৪১তম বিসিএস আমার প্রথম বিসিএস ছিল। সেখানে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। বর্তমানে ৪৩তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে কর্মরত আছি। সামনে ৪৫তম বিসিএসের ভাইভা ও ৪৬তম বিসিএসের রিটেন বাকি। আমি মনে করি, ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম করলে যেকোনো বাধা জয় করা সম্ভব।’  

বিসিএসের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমি পিএসসির বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস অ্যানালাইজ করে টপিকগুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। তারপর সাবজেক্ট ভাগ করে পড়েছি। প্রতিদিন দুই/তিনটি সাবজেক্ট পড়েছি। কখনোই সব একসাথে পড়তাম না। আবার কিছুদিন পরপর রিভিশন দিতাম, যাতে ভুলে না যাই। আমার মুখস্থ করার ক্ষমতা কম, তাই একই বিষয় বারবার পড়েছি, যাতে মনে থাকে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা নোট খাতা বানিয়েছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে পড়তাম।’  

এর আগে ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ১৭১০ পদের বিপরীতে ১৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ক্যাডারে ৫০জনকে সুপারিশ করা হয়।