গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ত্রাণের আটায় মাদকজাত ট্যাবলেট

নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ফিলিস্তিনিরা
নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ফিলিস্তিনিরা © এএফপি

গাজায় বিতরণকৃত ত্রাণের আটা বস্তায় পাওয়া গেছে ‘অক্সিকোডন’ নামের মারাত্মক মাদকজাত ব্যথানাশক ট্যাবলেট। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে পাঠানো এসব বস্তার ভেতরে মাদক পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ‍জুন) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, এ পর্যন্ত অন্তত চারজন নাগরিক নিশ্চিত করেছেন যে তারা আটার ব্যাগের ভেতরে এই ট্যাবলেট পেয়েছেন। বিবৃতিতে আরও সতর্ক করে বলা হয়, কিছু ক্ষেত্রে এসব ট্যাবলেট ইচ্ছাকৃতভাবে গুঁড়ো করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

অক্সিকোডন মূলত একটি উচ্চমাত্রার ব্যথানাশক, যা সাধারণত ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা প্রশমনে ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধ অত্যন্ত আসক্তিকর এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, মানসিক বিভ্রান্তি ও এমনকি মৃত্যুঝুঁকিও।

এর আগে গাজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু ছবিতে আটা ব্যাগের ভেতর পাওয়া ট্যাবলেট দেখা যায়, যা জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে।

এই ঘটনাকে 'ইচ্ছাকৃত ও বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র' আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন গাজার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশ্লেষকরা। ফার্মাসিস্ট ওমর হামাদ একে ‘গণহত্যার নিকৃষ্টতম রূপ’ বলে মন্তব্য করেন। আর চিকিৎসক খালিল মাজেন আবু নাদা বলেন, "এটি ফিলিস্তিনিদের সামাজিক চেতনা ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত কৌশল।"

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই ঘটনার দায় সরাসরি ইসরায়েলের ওপর চাপিয়ে বলেছে, এটি ফিলিস্তিনি সমাজকে ভিতর থেকে ধ্বংস করার জন্য একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। তাদের দাবি, অবরোধের সুযোগ নিয়ে ইসরায়েল এই মাদককে ‘মানবিক সহায়তা’র ছদ্মবেশে পাচার করছে। তারা আমেরিকা ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবেও বর্ণনা করে। [সূত্র: মিডল ইস্ট আই]