স্থলপথে রপ্তানি
বাংলাদেশ থেকে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- টিডিসি ডেস্ক
- ২৮ জুন ২০২৫, ১৫:৪৪
বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর ব্যবহার করে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের তালিকায় রয়েছে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড়।
তবে সমুদ্রপথে এই পণ্যগুলো আমদানির একটি বিকল্প রেখেছে দেশটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব পণ্য এখন শুধুমাত্র মুম্বাইয়ের নভোশেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।
বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এ ৯ ধরনের পণ্যের মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের পণ্যই গেছে স্থলপথে, অর্থাৎ ৯৯ শতাংশেরও বেশি রপ্তানি হয়েছে স্থলবন্দর ব্যবহার করে।
এ নিয়ে তিন মাসে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত। এর আগে ১৭ মে স্থলপথে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়সহ বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। আরও আগে, ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়।
তবে শুক্রবারের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এই ৯ ধরনের পণ্য স্থলপথে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানিতে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘হঠাৎ করে এমন নিষেধাজ্ঞায় আমরা হতবাক। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত বড় আঘাত। সমুদ্রপথে আমদানির সুযোগ থাকলেও সেটা ছোট উদ্যোক্তাদের পক্ষে বাস্তবায়নযোগ্য নয়—এতে খরচ ও সময় দুই-ই অনেক বেশি।’
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান জানান, ‘এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পাট ও পাটজাত পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। হঠাৎ নিষেধাজ্ঞার ফলে বন্দরের অনেক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খাবে।’