প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা © সংগৃহীত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, সকলে সচেতন থাকলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০২৫-এর প্রশ্নফাঁসের কোনও সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রতিবারই শঙ্কা থাকে, এবারও আছে। আমরা এসএসসি পরীক্ষার মতো এইচএসসি পরীক্ষাতেও তৎপর আছি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আজ থেকে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা একযোগে শুরু হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ আমরা খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশা করি, সেই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাটাও সেভাবেই করতে পারব। চ্যালেঞ্জ অনেক এবং অতীতের প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যাগুলো ছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। পূর্বের এসএসসি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা নিয়ে বোর্ডসমূহ, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকবে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।

তিনি বলেন, নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশের ৯,৩০০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট, ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ১১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ আমার হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে, কেউ বলবে প্রশ্নপত্র ভালো হয়েছে, আবার কেউ বলবে খারাপ হয়েছে। এটা তাদের বোঝাপড়া ও প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে। আমরা যেটা নিশ্চিত করতে পারি, তা হলো প্রশ্নপত্রের মান ঠিক রাখা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিনে কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছেছে এবং নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, সব পরীক্ষার্থী মাস্ক পরে এসেছে, সবাই নিরাপদ দূরত্বে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গুর বিষয়েও আগে থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য স্কুলগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—যেখানে পানি জমতে পারে বা ঝোপজঙ্গল আছে, সেগুলো পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। আমার ধারণা, বহুলাংশেই তারা তা করেছে। ফলে এ নিয়ে ভয়ের বা শঙ্কার কিছু দেখছি না।

উপদেষ্টা আবরার বলেন, সমস্যা যেটা আছে, সেটি পরবর্তীকালে কীভাবে আরও ভালোভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়েও আমরা ভাবছি। যদিও ব্যবস্থাগুলো অতীতের তুলনায় উন্নত হয়েছে, তারপরও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। সবকিছু একেবারে নিরসন করা হঠাৎ করে সম্ভব হবে না। এগুলো নিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হবে।