ডাকসুকে ঘিরে আমাদের দেওয়া প্রস্তাবনা রাখেনি প্রশাসন: মেঘমল্লার বসু 

‘ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেঘমল্লার
‘ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেঘমল্লার © টিডিসি

ডাকসুর গঠনতন্ত্রের মৌলিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে করা তিনটি প্রস্তাবনার একটিও প্রশাসন রাখেনি বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসু।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্প’ নামক এক প্লাটফর্ম কর্তৃক আয়োজিত ‘ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেঘমল্লার বলেন, ডাকসুকে ঘিরে আমরা কয়েকটি মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম ভিসিকে বা অছাত্রকে সভাপতি করা যাবে না। সভাপতির একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতা থাকতে পারবে না। সেটা যদি ছাত্রও হয় তার একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতা থাকবে না এবং ডাকসুতে অনুষদভিত্তিক প্রতিনিধি দিতে হবে। আমরা এই তিনটি মৌলিক প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম কিন্তু প্রশাসন আমাদের কোন প্রস্তাবনা রাখেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন ঘৃণা স্তম্ভ মুছে ফেলা হলো তখন বলা কোন নিরাপত্তা সংস্থার কথায় তিনি এটা করেছেন। কিন্তু যখন তার নাম জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি কথার টোন পাল্টে ফেলেন। এটাই হচ্ছে প্রক্টরের আমলনামা।

মেঘমল্লার আরও বলেন, তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের আগে যে-সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে কোন ধরণের রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আলোচনা কথা হতো না। পরবর্তীতে রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে কথা বললেও একটি বিশেষ দলের কথায় তিনি (প্রক্টর) বেশি মানেন। আর যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা হয় তখন এটাকে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা বলা হয় ।