মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক

অটোপাস ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে শিক্ষা

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর © লোগো

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অটোপাস দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। আর ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এছাড়া, জুলাই আন্দোলনের পরে উচ্চ মাধ্যমিকে ফের অটোপাস দেওয়া হয়। এ অটোপাস ও সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের সংস্কৃতি শিক্ষার মানে দীর্ঘমেয়াদী ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য ভবিষ্যৎ শিক্ষানীতি প্রণয়নে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা এবং শিক্ষার মান পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, বিষয়টির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। আর যেকোনো সময় দেশে যেকোনো ধরনের সঙ্কট আসাটা স্বাভাবিক। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব সঙ্কট মোকাবেলা করে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও জীবনমান উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ এবং ইফেক্টিভ মেকানিজম তৈরির চিন্তা করতে হবে।

“প্রপার লার্নিং আউটকাম ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এই শিক্ষার্থীরা দূর্বল থেকে গেছে। তারা যখন কোনো কর্মক্ষেত্রে যাবে তখন তাদের একটা গ্যাপ থাকবে, যা দীর্ঘমেয়াদী। এটা শিক্ষার জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক দিক নয়।” - অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জানা যায়, ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়। এরপর থেকে, অর্থাৎ ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষাগুলো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওই বছরের  এইচএসসি পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে, কোটা আন্দোলনের কারণেই গত ১৬ জুলাই প্রথম দফায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে এই পরীক্ষাগুলো স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৫ আগস্ট ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১১ সেপ্টেম্বর। তবে রুটিন প্রকাশের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রতিবাদ শুরু করে। তাদের দাবি ছিল—আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন, অনেকে আবার মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেনি। এমন পরিস্থিতিতে তারা তাদের সহপাঠীদের রেখে পরীক্ষা দিতে না চেয়ে তারা বিকল্প পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানায়। এ প্রেক্ষিতে ৪ অক্টোবর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে তারা সচিবালয়ে গিয়ে আন্দোলন করে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে অটোপাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

“অটোপাসকে সাময়িকভাবে কেউ কেউ আশীর্বাদ হিসেবে মনে করলেও এটা আলটিমেটলি সবার জন্যই ক্ষতিকর।” - মুহাইমিনুল ইসলাম , শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

আরও জানা যায়, ২০২২ সালের এসএসসিতে ছয়টি এবং এইচএসসিতে সাতটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়। ওই বছর আবশ্যিক বিষয়ে ৫০ নম্বর, ব্যবহারিক আছে এমন বিষয়ে ৪৫ নম্বর এবং ব্যবহারিক নেই এমন বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পরের বছর থেকে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হলেও তা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের অধীনে ছিল।

এদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী তাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর শেষ করেছেন অটোপাস বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে। ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন, যা ২০২১ সালে ১৩ লাখ ৯৯ হাজারে, ২০২২ সালে ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জনে, ২০২৩ সালে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জনে এবং ২০২৪ সালে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জনে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরতরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পার হয়েছেন অটোপাস বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে তুলনামূলক খারাপ ফল করছেন এবং বিভিন্ন বিষয় বুঝতে তাদের অধিক সময় প্রয়োজন হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান বলেন, প্রপার লার্নিং আউটকাম ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এই শিক্ষার্থীরা দূর্বল থেকে গেছে। তারা যখন কোনো কর্মক্ষেত্রে যাবে তখন তাদের একটা গ্যাপ থাকবে, যা দীর্ঘমেয়াদী। এটা শিক্ষার জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক দিক নয়।

২০২০ সালে ঝিনাইদহের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজে থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ (অটোপাস) করেন মুহাইমিনুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পালি অ্যান্ড বু্দ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে (স্নাতক চতুর্থ বর্ষ) অধ্যয়নরত আছেন। মুহাইমিন তার অনুভুতি প্রকাশ করে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অটোপাসকে সাময়িকভাবে কেউ কেউ আশীর্বাদ হিসেবে মনে করলেও এটা আলটিমেটলি সবার জন্যই ক্ষতিকর। আমরা দেখেছি, আমাদের অনেক ব্যাচমেট এসএসসিতে ভাল ফল না করতে পারার অনুরাগ নিয়ে এইচএসসিতে ভালভাবে পড়াশোনা করেছিল, কিন্তু এসএসসির ফল অনুযায়ী তাদের অটোপাসের ফল অভিশাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, অনেকেই এসএসসিতে ভাল ফল করার পর এইচএসসিতে এসে ফাঁকিবাজি করেও অটোপাশে ভাল ফল করেছে। যা একধরণের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, এই অটোপাস সিস্টেম শিক্ষার মানকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। আমি মনে করি, যেকোনো মূল্যে আমাদের পরীক্ষা নিয়ে নিজেদেরকে যাচাই করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিল। তখন অনলাইনেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেত। 

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শিমু আক্তার। তিনিও ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন টাঙ্গাইলের শহীদ সালাইদ্দিন সেনানিবাসের অন্তর্গত ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাকে বলেন, ২০২০ সালে আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা করোনা সংকটের কারণে নেওয়া হয়নি। তখন আমাদের ব্যাচের সবাইকে অটোপাস দেওয়া হয়। এসএসসিতে আমার জিপিএ ফাইভ ছিল, এইচএসসিতেও জিপিএ ফাইভ আসে। অটোপাসের কারণে আমার ব্যক্তিগত শিখনের ক্ষতি হয়েছে বলে আমি মনে করছি না। কারণ, আমি নিয়মিত কলেজে ক্লাস করেছি, কোচিংয়েও ক্লাস করেছি এবং ব্যক্তিগতভাবেও পুরো সিলেবাস শেষ করেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিয়ে চান্স পেয়ে এখন অনার্স শেষ পর্যায়ে। তবে তখন পরীক্ষাটা হলে নিজেকে আরো যাচাইয়ের সুযোগ থাকতো।

ঢাবি অধ্যাপক মো. ফজলুর রহমান বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কারিকুলামের কিছু অবজেক্টিবস বা কিছু লার্নিং আউটকাম থাকে। সেটির অর্জন কতটুকু হয়েছে তা আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে বিচার করি। করোনার সময় থেকে এরপরের প্রেক্ষাপটে এই লার্নিং আউটকাম শতভাগ অর্জিত হয়নি। করোনা মহামারিতে অটোপাসের কারণে শিক্ষার্থীদের এসেসমেন্টেরও কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি।  যেকোনো মূল্যে সম্পূর্ণ কারিকুলাম ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়ানো গেলে ভাল হত।

“যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের সঙ্কট আসতেই পারে। তখন ইমিডিয়েটলি সরকারের উচিৎ হবে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করা, শিক্ষার্থীদের লার্নিংয়ের জন্য সকল ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত এবং জীবনমান উন্নয়ন করা। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যেন নিজের থেকেই শেখার পরিবেশ পায়। স্কুলের মূল্যায়ন এখন কমে গেছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে চাচ্ছেনা, শিক্ষকরা পড়াতে পারেনা, যুগ পরিবর্তিত হলেও শিক্ষকদের মাঝে পরিবর্তন হয়নি। সরকার যোগ্য শিক্ষক তৈরি করতে ভাল শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে এবং কার্যকরী মেকানিজম তৈরি করতে পারে।” - অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুমিনুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুমিনুর রশিদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষায় অটোপাস এবং সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বা পড়বে। একটা ভবন তৈরিতে ভিত্তি শক্ত না হলে ভবনটি উপরে যত বড়ই করা হোক না কেন, তা দূর্বল হয়ে যায়। কোনো না কোনোভাবে এটির সাপোর্ট বা রিকভারি সিস্টেম না থাকলে সমস্যা তৈরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। করোনাকালে দেওয়া অটোপাস এবং পরবর্তীতে করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের লার্নিং গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বাস্তবতাও ছিল। ক্রাইসিস বিবেচনায় একবার অটোপাস দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু বারবার দেওয়ার যে রীতি চলে আসছে তার নেতিবাচক প্রভাব এখনো চলছে। সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে অটোপাসের দাবিতে। এটা একটা কালচার হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, অটোপাস ও সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণে শিক্ষার্থীদের লার্নিং গ্যাপের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবও রয়েছে। যদি কেউ এটা অন্য কোনোভাবে রিকভার করে তাহলে সেটা ব্যতিক্রম। সামগ্রিকভাবে লার্নিং রিকভার করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু সরকার তা করেনি, চেষ্টাও করেনি, সামর্থও নেই, দক্ষতাও নেই এবং ভিশনও নেই। সরকার নিজেই এ বিষয়টা বুঝেনা। কারণ, শিক্ষা যারা চালায় তারা শিক্ষার লোকই নন। তাই যদি থাকতো তাহলে তারা শিক্ষা কমিশন গঠন করতো। শিক্ষা নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা-ভাবনাই নেই। আর তারা বাজেটে দুই টাকা বাড়িয়েই মনে করে অনেককিছু করে ফেলেছি। মূলত তারা জনগনকে ধোঁকা দেয়।

সমস্যা সমাধানের উপায় উল্লেখ করে এই শিক্ষাবিদ আরো বলেন, যখনকার সমস্যা তখনই সমাধান করলে সবচেয়ে ভাল হয়। চার-পাঁচ বছর আগের সমস্যা এই মুহুর্তে এসে সমাধানের সুযোগ কম। তবে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের সঙ্কট আসতেই পারে। তখন ইমিডিয়েটলি সরকারের উচিৎ হবে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করা, শিক্ষার্থীদের লার্নিংয়ের জন্য সকল ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত এবং জীবনমান উন্নয়ন করা। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী যেন নিজের থেকেই শেখার পরিবেশ পায়। স্কুলের মূল্যায়ন এখন কমে গেছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে চাচ্ছেনা, শিক্ষকরা পড়াতে পারেনা, যুগ পরিবর্তিত হলেও শিক্ষকদের মাঝে পরিবর্তন হয়নি। সরকার যোগ্য শিক্ষক তৈরি করতে ভাল শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে এবং কার্যকরী মেকানিজম তৈরি করতে পারে। যাতে ভবিষ্যতে কোনো ক্রাইসিস আসলে তা মোকাবেলা করে লার্নিং অব্যাহত রাখা যায়।