নাভারণ রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে মানববন্ধন
- ২২ জুন ২০২৫, ১৯:৪৪
বেনাপোলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের ‘নাভারণ রেলস্টেশন’ স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুরে নাভারণ রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ কর্মসূচিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, পরিবহন শ্রমিক, কৃষক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার কয়েক শতাধিক মানুষ এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী আন্তঃনগর ট্রেনটি নাভারণ রেলস্টেশন অতিক্রম করার সময় উপস্থিত জনগণ রেললাইনের পাশে লাল পতাকা নেড়ে ট্রেন থামিয়ে দেন। ট্রেনটির ভেতরে অবস্থান করছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন। যদিও তিনি ট্রেন থেকে নামেননি, তবে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের দাবিদাওয়ার স্লোগান এবং পতাকা ও ব্যানার চোখে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন জানান, নাভারণ শুধু শার্শা উপজেলার নয়, এটি ঝিকরগাছা ও আশপাশের বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, তালা, দেবহাটা ও সদর উপজেলার যাত্রীদের জন্য এটি সবচেয়ে কাছের রেল সংযোগস্থল। অথচ এখানেই নেই কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নাভারণ স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন না থামানো মানে হাজার হাজার যাত্রীকে বাধ্য করা হচ্ছে বিকল্প ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ যানবাহন ব্যবহারে। এটি সরাসরি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং জনগণের অধিকার হরণ।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবুল হাসান জহির। তিনি বলেন,
‘নাভারণ একটি জনবহুল, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এখানে আন্তঃনগর ট্রেন না থামানো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এই দাবি কোনো রাজনৈতিক নয়, এটি এই অঞ্চলের লক্ষ মানুষের ন্যায্য অধিকার। আমরা আশা করি রেলওয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই বার্তা পৌঁছাবে এবং নাভারণ স্টেশনে দ্রুত আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, জনগণ যখন মহাপরিচালকের সামনে নিজ হাতে লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেন থামায়, তখন সেটি আর শুধু একটি প্রতীকী কর্মসূচি থাকে না, তা হয়ে ওঠে জনগণের বাস্তব রেলনীতি পরিবর্তনের স্পষ্ট বার্তা।
আরও পড়ুন: ৫৪ দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরেছেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা
উল্লেখ্য, বেনাপোল রুটে বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও মাঝপথে গুরুত্বপূর্ণ জনপদ নাভারণে যাত্রাবিরতি না থাকায় বিভিন্ন সময় আন্দোলন, স্মারকলিপি প্রদান এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।