ঈদের নামাজে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সংঘর্ষ: আ. লীগের ১৭ নেতা কারাগারে

জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নাটোর
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নাটোর © টিডিসি ফটো

নাটোরের লালপুরে ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. নাসিরুল হকের আদালতে মামলার ১৯ জন এজাহারনামীয় আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক ২ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও বাকি ১৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক আলী, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, লালপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান, কায়কোবাদসহ মোট ১৯ আসামি। নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মো. নাসিরুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করেন।

গত ৩১ মার্চ লালপুর উপজেলার বলিতিতা ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। এই স্লোগান  ঘিরে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপিপন্থী নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আওয়ামীপন্থীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ উঠে। এতে উভয়পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

সংঘর্ষের পরদিনই বিএনপিপন্থী নেতার দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের ১৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন শুনানি করেন। তবে অধিকাংশের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।