যেতে হবে ২০ কিলোমিটার দূরে, দাবির মুখে বাড়ির কাছে এলো এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র

ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় © টিডিসি ফটো

কক্সবাজারের ডুলাহাজারার শিক্ষার্থীরা ২০১৫ সাল থেকে ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি বছর হঠাৎ ২০ কিলোমিটার দূরের চকরিয়া সরকারি কলেজকে কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়।  

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ড. মো. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   

এ সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট মহলে স্বস্তি নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ বিবেচনায় নেওয়া এই মানবিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

জানা যায়, ডুলাহাজারার শিক্ষার্থীরা ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত উক্ত প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ ২০ কিলোমিটার দূরের চকরিয়া সরকারি কলেজকে কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। পথের দূরত্ব, যাতায়াত খরচ এবং নিরাপত্তা ইস্যু সামনে রেখে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এই প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যকর ভূমিকা, ডুলাহাজারা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজি-এর নিরলস প্রচেষ্টা এবং চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শকের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে পূর্বের পরীক্ষা কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা হয়।

ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আনুষ্ঠানিক অনাপত্তি পত্রও এ প্রক্রিয়াকে সহজতর করে তোলে। এর মাধ্যমে ডুলাহাজারা কলেজের মোট ৪৫৬ জন পরীক্ষার্থী নিজ এলাকার কেন্দ্রে স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

ডুলাহাজারা কলেজের গভর্নিং বডি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের একান্ত সহযোগিতা এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রয়াসে এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।

ডুলাহাজারা কলেজের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘চকরিয়া কলেজে পরীক্ষা দিতে হলে প্রতিদিন অনেকটা পথ যেতে হতো। আমাদের জন্য সেটা খুব কষ্টদায়ক হতো। এখন নিজ এলাকার কেন্দ্রেই পরীক্ষা দিতে পারব—এটা যেন এক বিশাল স্বস্তি। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’