নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর মাছের খামার থেকে দুই শিশুর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার

স্বপ্না খাতুন ও সকাল আক্তার
স্বপ্না খাতুন ও সকাল আক্তার © সংগৃহীত

শেরপুরের শ্রীবরদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর বিবস্ত্র অবস্থায় দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বটতলা মৃদা বাড়ি এলাকার একটি মাছের খামার থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। 

নিহতরা হলো, তাতিহাটি ইউনিয়নের চককাউরিয়া এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না খাতুন (৬) এবং সেলিম মিয়ার মেয়ে সকাল আক্তার (৭)। তারা দুইজনেই স্থানীয় এক নুরানি মাদ্রাসায় পড়ত।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টার পর থেকে শিশুদের খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে শিশুদের সন্ধান চাওয়া হয় এবং সারারাত মাইকিং করা হয়। রাত ১টায় অন্য এক প্রজেক্টে খোঁজ নেয়া হয়। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে বটতলা মৃদা বাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারে শিশু দুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দিলে শ্রীবরদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুদের পরনে কোনো পোশাক ছিল না।

জানা গেছে, স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেনের জমিতে তৈরি ওই পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন মোস্তফা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। দুই শিশুর বাড়ি পুকুরের ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে। 

নিহত স্বপ্নার বাবা স্বপন মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর আর ঢাকা যাইনি, সারা রাত মাইকিং করেছি। কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি। সকালে মেয়ের মরদেহ পেলাম, কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেই এবং নিজেও ঘটনাস্থলে আসি। আমার কাছে বিষয়টি পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার মতোই মনে হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। আমরা ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’