এনটিআরসিএ ১৭তম নিয়োগ বঞ্চিতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ২০
- ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৫৮
রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে ‘সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীরা। আজ রবিবার (১৫ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয়ের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের আহতের বিষয়ে নিশ্চিত করে মো. ইউসুফ ইমন বলেন, সংঘর্ষে সমীর, রমেশ দা, হিরো আলী, আরিফ খান, মান্নান, কাউসার, অজিফা, সিদ্দিকা আকতার, হালিমা, বাকি বিল্লাহ, জমির উদ্দিন, পলাশ দাশ, এমদাদুল হক মিলন, সেলিনা আকতারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ‘সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ’ শুরু করেন নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীরা। তাদের মূল দাবি ছিল ৩৫ ঊর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের দ্রুত নিয়োগ। তবে সচিবালয়ের প্রবেশ মুখে পৌঁছালে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রমের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় টানা কয়েক দফা সাউন্ড গ্রেনেড ফাটানো হয়, লাঠিচার্জ চালানো হয়, এতে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় আহত অনেক আন্দোলনকারীকে।
এদিকে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সচিবালয় ও তার আশপাশে সভা-সমাবেশ, মিছিল ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আজকের কর্মসূচিতে অংশ নেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। মাঠে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সচিবালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা অমান্য করেই তারা মিছিল নিয়ে এগোতে চেয়েছিলেন। বহুবার অনুরোধ করা হলেও পিছু না হটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়।
তবে সংঘর্ষে আহত বা আটক হওয়া কেউ পুলিশের হেফাজতে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, এনটিআরসিএ ২০০৫ সালে কেবল শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য প্রাক-যোগ্যতা সনদ দিতো, যা দিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যেত। তবে ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাইয়ের পূর্ণ দায়িত্ব পায় প্রতিষ্ঠানটি। সেই ধারাবাহিকতায় ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের অনেকেই এখনও নিয়োগ না পাওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন। বিশেষ করে ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।