জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (১১ জুন) থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলাটি দায়ের করেন মো. সোহেল রানা (৩৩)। তিনি নিজেকে ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন।

উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— মো. শাহপরান (২০), মো. আরিফ (২৩), মো. স্বপন মিয়া (১৯), আ. আহাদ (২১), মো. এমরান (২০), মো. মৃদুল (২৩), মো. আ. কাদের (৪৮), মাওলানা শাহাজালাল (৪০), মো. আ. রহিম (২২) এবং মো. মুরাদ (৩০)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮ জুন জামায়াতে ইসলামী ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ নাউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ হোসেন ১১ জুন সকাল ১১টা থেকে অনুষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি দেন।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, সেদিন সকাল ৮টায় তাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী।

হামলার ঘটনা অভিযোগে বলা হয়, সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে অনুষ্ঠান চলাকালে ৭নং আসামি আ. কাদের ও ৮নং আসামি মাওলানা শাহজালালের নেতৃত্বে ‘আলা হযরত ইসলামী পাঠাগার’ -এর সদস্য-সমর্থক ও আওয়ামীপন্থী কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।

তারা ‘জামায়াতের আস্তানা গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও’ —এই স্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে একযোগে হামলা চালায়। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়; যা মারাত্মক বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

বাদী অভিযোগ করেন, বিবাদীরা রাষ্ট্রীয় আইনকানুন মানে না এবং তারা আওয়ামী ঘরানার লোক।

এ ঘটনায় কচুয়া থানায় মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার মানুষ হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত এবং শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হওয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কচুয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন অনুযায়ী তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।