প্যাথলজির আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় ব্যবসায়িক পার্টনারকে মারপিট
- ১৪ জুন ২০২৫, ১৫:২২
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি প্যাথলজি সেন্টারের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক অংশীদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর অংশীদারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত অংশীদার আজাদ শেখকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ‘টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টার’-এ এই ঘটনা ঘটে।
আহত আজাদের বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ভাইপো সোলায়মান শেখ বলেন, টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টারের মালিক ছিলো আজাদ শেখ ও টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইয়ার আলী মুন্সী। কিন্তু চিকিৎসক ইয়ার আলী তার অংশ ৬ মাস আগে গিমাডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী শেখের ছেলে মারুফ শেখের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারপর থেকে আজাদ ও মারুফ টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু একটি মামলায় আজাদ জেলে যায়। ৩ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে মারুফের কাছে প্যাথলজি সেন্টারের আয়-ব্যায়ের হিসাব চায়। তখন সে হিসাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ৩-৪ দিন আগে আজাদকে মারধরের হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের চতুর্থ ধাপের চূড়ান্ত ভর্তি ১৮ জুন
তারা আরও বলেন, পরে বৃহস্পতিবার রাতে আজাদ প্যাথলজি সেন্টারের ভিতরে অবস্থান করায় মারুফ তার লোকজন নিয়ে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলে চলে যায়। তখন স্থানীয়রা আজাদকে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক জনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আমরা মারুফ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চাই।
তবে আজাদকে মারধরের বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত মারুফ শেখ বলেন, যারা আজাদকে মেরেছে আমি তাদের কখনো দেখিনি। প্যাথলজির ভিতরে মারামারি হচ্ছে দেখে উলটো আমি ঠেকিয়েছি। আর ঠেকাতে গিয়ে আমিও মারধরের শিকার হয়েছি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আজাদ এই কৌশল অবলম্বন করেছেন। যাতে তাকে আমি প্যাথলজির স্বত্বাধিকারী দিয়ে দিই।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।