বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা © টিডিসি

যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে রাজনৈতিক বিরোধ ও পুরোনো শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত লিটন স্থানীয় বিএনপির সক্রিয় কর্মী। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর গ্রামের চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ঘটনার সময় লিটন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। দা, কুড়াল ও হাসুয়া দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা আজগার আলী জানান, তার ছেলের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থি সন্ত্রাসী সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীদের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। ঈদের আগের দিনও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। তার দাবি, লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই আজগার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—এজাহারভুক্ত আসামি মো. আজগর আলী (৩২) ও মো. শমসের আলী (৪৫), এবং সন্দেহভাজন মো. আব্দুল হক মিয়া (৫৫) ও মো. সামছুল হক (৫২)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত অপরাধী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সেলিম হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হত্যার পর তারা আত্মগোপনে চলে গেলেও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা থানা ও গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’