পবিপ্রবিতে শিবিরের কুরবানির মাংস বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতিভোজ

পবিপ্রবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ ও প্রীতিভোজের আয়োজন ছাত্রশিবিরের
পবিপ্রবিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ ও প্রীতিভোজের আয়োজন ছাত্রশিবিরের © টিডিসি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ ও প্রীতিভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার (৯ জুন), ঈদের শেষ দিনে দিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচির শুরুতে গরু ও ছাগল কুরবানি দেওয়া হয়। পূর্বনির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ১৫২ জন এবং তালিকার বাইরে থাকা আরও ২৫ জন শিক্ষার্থীকে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়। মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাঝে গরুর মাংস এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ছাগলের মাংস বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত হয় প্রীতিভোজ, এবং ডিউটিরত নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যদের জন্য ছিল আলাদা নাশতার ব্যবস্থা।

আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন এবং ছাত্রশিবিরের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজন প্রসঙ্গে ছাত্রশিবিরের পবিপ্রবি শাখার সভাপতি মোঃ জান্নাতীন নাঈম জীবন বলেন, প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় আমরা এবারও কুরবানি, মাংস বিতরণ এবং প্রীতিভোজ আয়োজন করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। আগে নানা প্রতিবন্ধকতায় এই কর্মসূচির খবর প্রচার করতে পারিনি, তবে আমরা আশা করি সামনে এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, ছাত্রশিবিরের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় ভালো কাজের পক্ষে। এমন আয়োজন আমাদেরই করা উচিত ছিল। আগামীবার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এমন উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব।

অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-উর-রশিদ বলেন, কুরবানির শিক্ষায় রয়েছে ত্যাগের অনন্য শিক্ষা। পরিবার থেকে দূরে থেকেও শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ইতিবাচক ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে, এটাই প্রত্যাশা।