গাজামুখী ‘ম্যাডলিন’ জাহাজ আটক, গ্রেটা থুনবার্গসহ মানবাধিকারকর্মীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি

ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’
ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ © সংগৃহীত

ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে প্রতীকীভাবে গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করেছিল ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি জাহাজ। তবে সোমবার (৯ মে) ভোররাতে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১০০ নটিক্যাল মাইল (১৮৫ কিলোমিটার) দূরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটি থামিয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর জাহাজটিকে আটক করে দেশটির বন্দরনগরী আশদদে নিয়ে যাওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার (১০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

জাহাজটিতে ১২ জন মানবাধিকারকর্মী ছিলেন, যারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। আটককৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আটক করা ১২ জনকে আজ মঙ্গলবার (১০ মে) তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি সংগঠন আদালাহ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মানবাধিকারকর্মীদের একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হতে পারে, তারপর নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

এ বিষয়ে সিএনএনকে দেওয়া এক সূত্র জানায়, তাদের আশদদ বন্দরে নেওয়ার পর বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর দিয়ে দ্রুত বহিষ্কারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলের।

আয়োজক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানায়, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের ‘অবৈধ’ অবরোধ অমান্য করে প্রতীকী সহায়তা গাজায় পৌঁছানো। তবে ইসরায়েল এই উদ্যোগকে ব্যঙ্গ করে ‘সেলফি ইয়ট’ নামে অভিহিত করেছে। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, ম্যাডলিন নিয়ে এই নৌযাত্রাটি ‘মানবিক সহায়তার’ জন্য নয়, বরং ‘গ্ল্যামার, প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি তোলার (সেলফি) মাধ্যমে নজর কাড়ার’ জন্য করা হয়েছে।