কুষ্টিয়ায় বহুতল ভবনের গ্যারেজে মিলল সাবেক এমপির টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার
- ১১ জুন ২০২৫, ১০:০৮
কুষ্টিয়ার একটি বহুতল ভবনের গ্যারেজ থেকে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কলকাতায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজিম আনারের।
সোমবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টিম। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, প্রায় তিন মাস আগে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে অবস্থিত ‘শাফিনা টাওয়ার’ নামের ভবনের গ্যারেজে কালো রঙের একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ি রাখা হয়। গাড়িটির অস্বাভাবিক উপস্থিতি এবং উচ্চমূল্য দেখে সন্দেহ হলে পুলিশ মালিক খোঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করে। সোমবার রাতে যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, গাড়িটির মালিক ছিলেন ভারতের কলকাতায় হত্যার শিকার হওয়া এমপি আনার।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন বলেন, গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সংসদ সদস্যের স্টিকার এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাওয়া গেছে। কাগজ অনুযায়ী গাড়িটির মালিক আনোয়ারুল আজিম আনার। তবে কীভাবে এই গাড়ি কুষ্টিয়ায় এসে শাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজে রাখা হলো, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। বর্তমানে গাড়িটি পুলিশি হেফাজতে আছে এবং প্রাথমিকভাবে ভবনের প্রহরীকে সেটির দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটি ২০২৩ সালের টয়োটা ব্র্যান্ডের এবং এর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০।
শাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজ প্রহরী আলমগীর জানান, তিন মাস আগে একটি তামাক কোম্পানির দুই কর্মকর্তা গাড়িটি সেখানে রেখে যান। তিনি আরও বলেন, ওই কোম্পানির জন্য ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় পাঁচটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভবন মালিক শামসুদ্দিন আলম ওরফে শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, ভবন মালিক সময় চেয়েছেন এবং বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজিম আনার তিনবার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি গত বছরের মে মাসে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলে নিখোঁজ হন এবং পরে জানা যায়, তিনি কলকাতায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।