যশোরে মসলা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা
- ০৪ জুন ২০২৫, ১৬:৩১
আর মাত্র তিন দিন পরেই ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদ সামনে রেখে যশোর শহরে বড় বাজারে মুদি দোকানদাররা মসলা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন জেলার আটটি উপজেলা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাইকারিভাবে মসলা কিনে নিচ্ছেন। পাইকারি দরে পাওয়ায় শহরের বাসিন্দারাও এখান থেকে মসলা কিনে নেন।
এখানকার ব্যবসায়ীরা সকাল ১০টা পর দোকান খোলেন। বেচাকেনা চলে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মসলার বাজারে ভিড়বাট্টা একটু বেশি দেখা গেছে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, যশোরের বড়বাজারে মুদি দোকানদাররা মসলা বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানি সামনে রেখে তারা বেশি মালামাল আমদানি করেছেন। কোরবানি উপলক্ষে মসলার বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানগুলোয় দম ফেলার ফুরসত নেই। জিরা, দারুচিনি, এলাচি, লবঙ্গ, হলুদ, তেজপাতা, আদাসহ হরেক রকমের মসলা কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
যশোরের বড় বাজারের সাধন স্টোরের স্বত্বাধিকারী অসীম কুন্ডু জানান, তিনি কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বেশি করে মসলা আমদানি করেছেন। ঢাকার বড় বড় দোকান থেকে তিনি মালামাল কেনেন। মানভেদে জিরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ থেকে ৪২০, এলাচি ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৪ হাজার ৯০০, লবঙ্গ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০, হলুদ ২৩০ থেকে ২৫০, তেজপাতা ১২০ থেকে ১৪০ ও আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছেন।
তিনি আরও জানান, কোরবানি উপলক্ষে এসব পণ্য বেশি বিক্রি হয়। অন্য সময়ে স্বাভাবিকভাবেই বিক্রি হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হয়ে তার বেচাকেনা চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।
ভোলানাথ স্টোরের অরবিন্দু কুমার পাল বলেন, ‘কোরবানি ঈদে মসলার চাহিদা একটু বেশি থাকে। কারণ সবার বাড়িতে মাংস থাকে। তাই রান্না করার জন্য মসলা একটু বেশি প্রয়োজন হয়।’
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই আসামি, মামলা দেশে— নাম বাদ দিতে এসআইয়ের ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি
তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র দোকানিরা তাদের কাছ থেকে পাইকারি হারে মসলা কেনন। চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি কোরবানি ঈদে তারাও বেশি করে মসলা আমদানি করেন। এবারও জিরা, গরম মসলা, হলুদ, তেজপাতা ও আদা বেশি করে আমদানি করেছেন।
দিলীপ স্টোরের স্বত্বাধিকারী দিলীপ ঘোষ বলেন, এবার ঈদে এখন থেকেই শহরের গৃহিণী মায়েরা মসলা কেনা শুরু করে দিয়েছেন। বেচাকেনা চলবে ঈদের দিন রাত পর্যন্ত। আশা করছি গতবারের চেয়ে এবার বেশি মালামাল বিক্রি হবে।
পলি খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বাজারে এসেছেন মসলা কিনতে। তিনি জানান, তার স্বামী একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। সে জন্য কোরবানির বাজেটও বেশি তাদের। এবার গরু কোরবানি দেবেন তারা। তাই প্রয়োজনমতো মসলা কিনতে বাজারে এসেছেন তিনি।
খায়রুজ্জামান রানার বাড়ি শহরের খালধর রোড়ে। তিনি পেশায় তিনি মটর পাটর্স ব্যবসায়ী। নিজে একাই একটি গরু কোরবানি দেবেন। কোরবানির ঈদে তেমন কেনাকাটা থাকে না। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মসলার বাজারের এসেছেন। তার স্ত্রী হরেক রকমের মসলা কিনেছেন।