সরকার ৩৩ প্রকল্পের ব্যয় কমালো ৪৬ হাজার কোটি টাকা
- ০৪ জুন ২০২৫, ২৩:০৯
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালীন মোট ৩৩ টি প্রকল্পের ব্যয় ৪৬ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, সেতু, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও খনিজ বিভাগের এসব প্রকল্পের বিষয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। বুধবার (৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদারের এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের মোট ১০টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৩২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগের ৪ প্রকল্পের ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিভাগের ৫ প্রকল্পের ৮ হাজার ৩৬ দশমিক ৯০ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগের ৫ প্রকল্পের ৭ হাজার ৪৫৪ দশমিক ৩১ কোটি এবং খনিজ বিভাগের ৯ দশমিক ৭৪৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে। এতে মোট পরিমাণ দাঁড়ায়, ৪৬ হাজার ৩০৭ দশমিক ১৪৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে আজাদ মজুমদার ফেসবুকে লেখেন, সরকার কি করছে? প্রায়ই শুনি। আমরা বলি, তবু অনেকেই মানতে চান না। আজ মনে হলো একটা উদাহরণ সুনির্দিষ্ট তথ্য সহ সবাইকে জানানো দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনঃমূল্যয়ন করে দেখা গেছে যে প্রায় সব প্রকল্পেই অযৌক্তিকভাবে এস্টিমেটেড ব্যয় বা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকার এই খরচ কমিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: ‘হয় ডাকসু, নয় পুরো প্রশাসনের পদত্যাগ’—ঈদের পর একযোগে মাঠে নামছে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন
তিনি ব্যয় সংকোচনের হিসাব দেখিয়ে বলেন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগে ব্যয় সংকোচন হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৮৫৪.৩২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৮ হাজার ৩৬.৯০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগে ব্যয় সংকোচন ৭ হাজার ৪৫৪.৩১ কোটি টাকা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ব্যয় সংকোচন ১২ হাজার ৪২৫.৫১ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, সবমিলিয়ে এই পাঁচ বিভাগের মোট ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪৬ হাজার ৩০৮.০৪ কোটি টাকা। এই টাকাটা লুটপাটের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সরকার জনগণের এই টাকাটা বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।