স্বাস্থ্য কর্মীদের ভাতা উত্তোলনে ঘুষ আদায়, বদলী ঠেকাতে গণস্বাক্ষর

অভিযুক্ত কর্মকর্তা মহি উদ্দিন
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মহি উদ্দিন © টিডিসি

নোয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মহি উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কর্মীদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলনে ঘুষ আদায় সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সম্প্রতি অভিযুক্ত মহি উদ্দিনের ঘুষ আদায় বিষয়ক একটি অডিও ক্লিপ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। 

জানা গেছে, মহি উদ্দিন চাকরি হওয়ার পর থেকে কর্মচারীদের নিকট থেকে প্রাপ্য বিভিন্ন ভাতাদি উত্তোলনের সময় বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ঘুষ আদায় করে, কেউ না দিতে চাইলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। সম্প্রতি শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলনে প্রত্যেকের নিকট ১৫’শ টাকা থেকে শুরু করে ২৫’শ টাকা আদায় করার একটি অডিও ভাইরাল হয়।

এর আগে গত ১৯ মে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি সাক্ষরিত হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলীর নির্দেশনা দেন। কিন্তু বদলী আদেশ ঠেকাতে সেখানে যোগদান না করে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক বন্ধ রেখে সিএসসিপিদের বেতন উত্তোলনে ভয় দেখিয়ে তাদের গণ স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ উঠে। এছাড়াও তার অনুগত কিছু স্বাস্থ্য সহকারীদেরও স্বাক্ষর নেন এই কর্মকর্তা।  

জানতে চাইলে, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ইন্সপেক্টর আব্দুল রহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি নিজেই দেখেছি ক্লিনিক বন্ধ রেখে মহি উদ্দিনের সাথে মিটিং করে গণ স্বাক্ষরে অংশ নেয় অনেকে। আমি ১৯ মে শাহিদা আক্তার কাদির হানিফ ও ফাতেমা আক্তারকে সুজাপুর সিটিতে  (ক্লিনিক) কর্মস্থলে অনুপস্থিতিজনিত কারনে চিঠি দিয়েছি। মহি উদ্দিন দুর্নীতিবাজ সে সদরে থাকতে অপতদবিরর করে যাচ্ছে। 

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা পরিসংখ্যানবিদ মহি উদ্দিন বলেন, অডিও ক্লিপ টা আমার কিনা দেখতে হবে। ঘুষ আদায় কিংবা গণসাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই।

এবিষয়ে জানতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাতকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।