শিশুদের পর্নোগ্রাফি তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও প্রচারের অভিযোগে মো. এখলাছ আলী আটক
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও প্রচারের অভিযোগে মো. এখলাছ আলী আটক © টিডিসি

অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও প্রচারের অভিযোগে মো. এখলাছ আলী (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পাগার পাঠানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি সূত্র জানায়, ইন্টারপুলের ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট চিলড্রেন ইউনিটের একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) জানতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের একজন নাগরিক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে তৈরি, সংরক্ষণ ও প্রচার করে আসছিলেন। পরবর্তীতে সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম প্রযুক্তিগত সহায়তায় অভিযুক্তকে সনাক্ত করে। অভিযুক্ত মো. এখলাছ আলী, পিতা মোঃ এসকেন আলী ও মাতা মোসা. ফাতেমা বেগমের সন্তান। তার স্থায়ী ঠিকানা নাটোর জেলার লালপুর থানার কামারহাতি গ্রামে। তিনি গাজীপুরের হোসেন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেডে আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন: সাম্যর ভাই সাগরের এনসিপিতে যোগদানের পক্ষে-বিপক্ষে যত মত

সিআইডির তদন্ত অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফিক ভিডিও সংগ্রহ করতেন এবং তা মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ ও প্রচার করতেন। গত ১ জুন সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়, যার ভেতরে একাধিক শিশু পর্নোগ্রাফির ভিডিও পাওয়া যায়।

সিআইডি আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মো. এখলাছ আলী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং- ০২, তারিখ- ০২/০৬/২০২৫)।  নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে মামলার পূর্ণাঙ্গ উদঘাটন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।