নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে জামায়াত-শিবির: গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট © টিডিসি সম্পাদিত

যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

জোটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হচ্ছে, গত ৩০ মে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি মনীষা ওয়াহিদ, কেন্দ্রীয় সংসদের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা সংসদের সভাপতি একরামুল হক জিহাদকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। 

জোটটি বলছে, গত ২৭ মে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এটিএম আজহারকে নির্দোষ ঘোষণা করার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। তারই প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের এবং চট্টগ্রাম জেলার গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রশিবির হামলা চালায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ এর ব্যানারে জামাত-শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের হামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলোর কাছে আসা: কৌশলগত বন্ধুত্ব নাকি স্ববিরোধী অবস্থান?

আজ রবিবার (১ জুন) গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করে ছাত্রশিবির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ভিন্নমত পোষণ করলে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবির এবং চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবির হামলা চালিয়েছে। নারী আন্দোলন কর্মীদের উপর বর্বরোচিতভাবে আঘাত করেছে। আমরা আরো দেখতে পাচ্ছি, নৃশংস সন্ত্রাসী তৎপরতার পরও জামায়াত- শিবিরের নেতা-কর্মীরা ক্ষান্ত না হয়ে একেক পর এক ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র কাউন্সিলসহ গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, হামলা- মামলা ও হুমকি দিয়ে ন্যায্য আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্র সংগঠনের কাজ হলো ছাত্রদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তোলা। রাজনৈতিক দলের কাজ জনগণের পক্ষে কাজ করা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, জামায়াত-শিবির বরাবরের মতো জনগণের বিপক্ষে গিয়ে তাদের পুরনো পেশীশক্তি নির্ভর রাজনীতি আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বের রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ উঠেছিলো। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যেসব সংগঠন নতুন করে সন্ত্রাসের রাজনীতির পথে হাঁটছে তাদের বিরুদ্ধে এদেশের শিক্ষার্থী-জনতার সোচ্চার হওয়া একান্ত  জরুরী।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন— গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্র যুব-আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিক প্রিয়া, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার।