ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট
সোমবারের মধ্যে বাণিজ্য শাখায় উত্তীর্ণদের বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- ০৪ জুন ২০২৫, ০০:০৫
আগামী সোমবারের মধ্যে (২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পুনঃভর্তি পরীক্ষার ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় উত্তীর্ণদের এসআইএফ (SIF) ফরম পূরণ ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার (৩১ মে) রাতে ঢাবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পুনঃভর্তি পরীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাক্রমে ১-১২০০ পর্যন্ত ও কোটায় উত্তীর্ণ সকল আবেদনকারীগণ ২ জুনের মধ্যে এসআইএফ (SIF) ফরম পূরণ ও তাদের বিষয়ের পছন্দক্রম অনলাইনে দিতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে বিষয় পছন্দ ফরম পূরণ না করলে পরবর্তীতে কোনোভাবেই মেধাক্রমের সুযোগ থাকবে না বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পুনঃভর্তি (শুধু এমসিকিউ) পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিকের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা শুধু এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এদিন বিকেলে ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই পুনঃভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তিতে এমসিকিউ পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের আর লিখিত পরীক্ষা হয় ৪০ নম্বরে। তবে প্রশ্নপত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশে ১২টি প্রশ্নে সেটে গরমিল দেখা যায়। পরে এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী সমাধান বের করতে পারেনি প্রশাসন। এর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করলে হাইকোর্টে রিট করেন ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ।
রিটে এমসিকিউ পরীক্ষা পুনরায় নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পরে হাইকোর্ট ফল প্রকাশে দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভা গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আদালতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পুনরায় পরীক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হয়।