আদালত এ টি এম আজহারের রায় বাতিল করলেও তার যুদ্ধাপরাধের সত্যতা মুছে ফেলা যায় না: আনু মুহাম্মদ
- ০২ জুন ২০২৫, ১২:১১
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন,‘এ টি এম আজহারুল ইসলাম ১৯৭১ সালে একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নেতা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা দলিল-প্রমাণসহ ছিল। আদালত যদি কোনো ত্রুটির কারণে আগের রায় বাতিলও করে, তাহলেও যুদ্ধাপরাধের সত্যতা তো মুছে ফেলা যায় না।’
শনিবার ( ৩১ মে ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে’ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ‘নাগরিক সংহতি সমাবেশ’ তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, যে ব্যক্তি ইতিহাসের বিবেচনায় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, তাঁকে নির্দোষ ঘোষণার মাধ্যমে ইতিহাসকেই বিকৃত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ’৭১–এর শহীদ, নির্যাতিত নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বর্তমান তরুণ কর্মীদের অনেকেই ’৭১ সালে জন্মায়নি। তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি ঠিকই, কিন্তু তারা যদি সেই রাজনীতি ধারণ করে, তবে সেই অপরাধের দায় থেকেও তারা মুক্ত থাকতে পারে না।’
অধ্যাপক আনু বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এটা ভয়ংকর মিথ্যাচার। ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া মানুষের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক মুসলমান। সুতরাং, তাঁদের হত্যাকারীদের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলা মানে ইসলামেরই অবমাননা করা।’
যারা ইতিহাস বিকৃত করছে, বৈষম্য–নিপীড়নের রাজনীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি যত দিন থাকবে, তত দিন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই চলবে। আর সেই লড়াই হবে বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশের পথচলার ভিত্তি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন। প্রবল বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান সংক্ষেপ করেন আয়োজকেরা। এই সংহতি সমাবেশের সঞ্চালক ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক জাবির আহমেদ।