বৃষ্টিতে ফাঁকা ভোলার গরুর হাট, হতাশ বিক্রেতারা
- ৩০ মে ২০২৫, ১৩:১৫
গ্রীষ্মের শেষে কোরবানির মৌসুম ঘনিয়ে এলেও ভোলার চরফ্যাশনে গরুর হাটে নেই সেই চিরচেনা কোলাহল। টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রধান তিনটি গরুর হাট—ভুইঁয়ারহাট, চেয়ারম্যান বাজার ও বদ্দারহাট।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাটজুড়ে দেখা গেছে নীরবতা। হাতে গোনা কয়েকজন বিক্রেতা গরু নিয়ে এলেও, ক্রেতার দেখা মিলেনি বললেই চলে। বৃষ্টিতে কাদাযুক্ত ও জলাবদ্ধ রাস্তায় গরু আনা-নেওয়া হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য, বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গরু বিক্রেতা আবুল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সকালে গরু নিয়ে রওনা দিয়েছি, কিন্তু হাটে পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাদা মাড়াতে হয়েছে। এত কষ্ট করে এসেও ক্রেতা নেই।”
হাটের পরিবেশও বিক্রির উপযোগী নয়। কোথাও নেই পর্যাপ্ত ছাউনি বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা। ফলে বৃষ্টিতে ভিজে কষ্টে দাঁড়িয়ে আছে পশুগুলো। ব্যবসায়ীরা জানান, গরু ফেলে দূরে যাওয়া নিরাপদ নয়, তাই বাধ্য হয়েই তারা কাদামাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে, যারা গরু দেখতে এসেছেন তারাও নিরাশ। চরফ্যাশনের স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, “গরু দেখতে এসেছিলাম, কিন্তু হাটের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি আর কাদায় গরু দেখা বা দরদাম করাও সম্ভব হচ্ছে না। একটা ভালো গরু দেখলেও পরিবেশের কারণে কিনতে সাহস হচ্ছে না।”
বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, কিছু লোক এলেও তারা শুধু দরদাম করে চলে যাচ্ছেন, কেনা-বেচা হচ্ছে না। তবে আশার আলো দেখছেন কেউ কেউ।
মৌসুমি ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন, “আবহাওয়া যদি একটু ভালো হয়, তাহলে আবারও হাটে ভিড় বাড়বে। শেষদিকে গরু বিক্রি ভালো হবে বলে আশা করছি।”
বিক্রেতাদের মতে, গরুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠতে আবহাওয়ার অনুকূল হওয়াটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। নাহলে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যেমন বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন, তেমনি দুর্ভোগে পড়বেন সাধারণ ক্রেতারাও।