নেশাগ্রস্ত স্বামীর হামলায় স্ত্রী গুরুতর আহত, গণপিটুনিতে স্বামী নিহত
- ২৯ মে ২০২৫, ১৫:৫৭
নওগাঁ সদর উপজেলার আনন্দনগর বাবু বাজার এলাকায় নেশাগ্রস্ত স্বামী মো. সুমনের (৩২) হাঁসুয়ার এলোপাতাড়ি কোপে স্ত্রী ময়ূরী বেগম (২৪) শরীরে জখম ও একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ সময় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনকে গণপিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ময়ূরী বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত সুমন নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রায় চার বছর আগে শহরের আনন্দনগর এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে ময়ূরীর সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমন তার স্ত্রীর সঙ্গে আনন্দনগর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। সুমন বিভিন্ন সময় নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করতেন এবং স্ত্রীকে সাংসারিক কোনো খরচ দিতেন না। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন।
একপর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা ও হাতে কোপ দেন। এতে স্ত্রীর বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন নির্মম ঘটনা দেখে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ময়ূরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এ সময় সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয়দের গণপিটুনিতে স্বামী সুমন মারা গেছে। সুমনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ওসি আরও বলেন, ময়ূরীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। মরদেহ এখন নওগাঁ হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।