পশুর হাটে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তারের পর বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী নেতার জামিন
- ৩০ মে ২০২৫, ১১:১১
কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাট থেকে ইজারার রসিদ ছাড়া অবৈধভাবে চাঁদা তোলার অভিযোগে করা মামলায় মো. মাহাবুব রহমান (৫৮) ও মো. আলমগীর (২৭) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে মামলা হয়। পরে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক। মঙ্গলবার যাত্রাপুর গরুর হাটে মাহাবুব ও আলমগীরের বিরুদ্ধে রসিদবিহীন চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফেনীর মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন যাত্রাপুর হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীকে অভিযোগ দিলে ওই দুজনকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন গতকাল যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে মাহাবুব ও আলমগীর তাকে (আনোয়ার) গরু–মহিষ বিক্রির শেডে নিয়ে যান। প্রতিটি মহিষের জন্য ৫০০ টাকা হিসাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার চাঁদা নেওয়া ব্যক্তিদের কাছে রসিদ চাইলে তাঁরা হাটের ইজারার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিষয়টি হাটে দায়িত্বরত যৌথ বাহিনীর সদস্যদের জানান তিনি। পরে মাহাবুব ও আলমগীরকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, মাহাবুব রহমান ও তার সহযোগী মিলে আমার কাছ থেকে ১৭টি মহিষের জন্য ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন। আমাকে কোনো রসিদ দেননি। তাই আমি যৌথ বাহিনীকে জানিয়েছি। পরে থানায় মামলা করেছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।