না পড়িয়েও বেতন তোলার অভিযোগ অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- ২৮ মে ২০২৫, ১৭:৩০
শিক্ষার্থীদের না পড়িয়েই মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলনসহ বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকীর দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ শাহজালালসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এবং তার ঘনিষ্ঠ তিন শিক্ষক মোঃ আঃ কাইয়ুম (আরবি), সোহরাব হোসেন (বাংলা) ও বেল্লাল হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। জানা গেছে, গত ১০ মাস ধরে তারা অনুপস্থিত থাকলেও সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা তুলছেন।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা মাওলানা এবিএম আব্দুল মতিন তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন।
এসময় তিনি জানান, ১৯৮০ সালে তিনি পৈত্রিক ৩০ শতক জমি দিয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে বহু পরিশ্রমে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীরা মাদ্রাসাটিকে দুর্নীতির ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ মোঃ শাহজালাল অতীতে বাউফলের বিলবিলাস নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আরবি প্রভাষক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও পরে প্রবাস জীবন শেষে বিধি লঙ্ঘন করে আবার একই ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে চাকরিতে ফিরে আসেন এবং পরবর্তীতে দ্রুত পদোন্নতি নিয়ে সহকারী অধ্যাপক হন। ২০১৫ সালে রাজনৈতিক প্রভাবে দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে অবৈধভাবে নিয়োগ লাভ করেন।
এবিএম আব্দুল মতিন বলেন, মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও ফ্যাসিষ্টের দোসর আকলিমা আক্তার আঁখি ও অধ্যক্ষ শাহজালালের যোগসাযোগশে নিজের ছেলে মজিবুর রহমান (ভাইস প্রিন্সিপাল) ও মেয়ে ফজিলাতুন নেছাকে বরখাস্ত করেছেন ব্যক্তিগত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে, যা আদালত পরে অবৈধ ঘোষণা করে। অপর দিকে মাদ্রাসায় চাকরির নামে কয়েকজনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, যার মধ্যে ৬ জন এখনো অর্থ ফেরত পাননি। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন অভিযুক্তরা। এখন স্থানীয় জনতার রোষ ও আইনি পদক্ষেপের আশঙ্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন বলে দাবি মতিনের।