আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে রাজশাহী কলেজ শিক্ষকদের কলমবিরতি
- ২৮ মে ২০২৫, ১৬:৩২
‘ডিএস পুলে কোটা পদ্ধতি বাতিল চাই, ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, সকল ক্যাডারের সমতা চাই’ স্লোগান সামনে রেখে প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রাজশাহী কলেজের শিক্ষকরা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। কর্মসূচি চলাকালে রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কলেজের শিক্ষরা এক ঘণ্টা অস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
আজ মঙ্গলবার ( ২৭ মে ) সকাল ৯টায় কলেজের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সেরাজ উদ্দীন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
এসময় শিক্ষকরা বলেন, ‘সারা দেশের মতো আজ রাজশাহীতেও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এ কর্মসূচি সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা রাজশাহী কলেজেও কলমবিরতি কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ শিগগিরই, কমতে পারে আসন
তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি, মিছিল ও জনপ্রশাসনে শোডাউন করেন। সংস্কার কমিশনকে আল্টিমেটাম দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয় এবং প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা বাকি ২৫টি ক্যাডারের সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এসব লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বিধিবিধান বহির্ভূত কার্যকলাপের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে, যা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে পরিষদ মনে করে।