ঢাকাইয়া আকবর হত্যা: ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের ভাই ও ভাগনে গ্রেপ্তার

ওসমান আলী ও মো. আলভিন
ওসমান আলী ও মো. আলভিন © সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার মামলায় বিদেশে পলাতক ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের ভাই ও ভাগনেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) রাতে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় পৃথক অভিযানে পুলিশ ও র‍্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সাজ্জাদের ভাই ওসমান আলী এবং ভাগনে মো. আলভিন। পতেঙ্গা থানা-পুলিশ ওসমানকে এবং র‍্যাব-৭-এর সদস্যরা আলভিনকে গ্রেপ্তার করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এবং র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার সময় ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম পতেঙ্গা থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওসমান আলী ও মো. আলভিনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে, ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সংঘটিত এক ব্রাশফায়ারে ছয়জন ছাত্রলীগ কর্মীসহ মোট আটজন নিহত হন। সে মামলায় সাজ্জাদ আলী দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও উচ্চ আদালত থেকে পরে খালাস পান। জামিনে মুক্তির পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যান, তবে সেখান থেকেও তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। তার নির্দেশনায় বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারী এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে।

বায়েজিদ এলাকায় সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত 'সন্ত্রাসী' সারোয়ার হোসেন ও আকবর আলী একসময় সাজ্জাদের হয়ে কাজ করলেও বিগত দুই বছর ধরে তারা আলাদা পথ বেছে নেন। বর্তমানে সাজ্জাদের বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ।

চলতি বছরের ১৫ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বড় সাজ্জাদ। তার গ্রেপ্তারের পর ২৯ মার্চ বাকলিয়া এক্সেস রোডে এক প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে দুইজনকে হত্যা করা হয়। সে সময় গাড়িতে থাকা সারোয়ার হোসেন গুলির হাত থেকে রক্ষা পান। ওই ঘটনায় ধৃত এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ঝুট ব্যবসার দখল, ছোট সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়া–সহ পাঁচটি কারণে তারা সরোয়ারকে টার্গেট করেছিলেন।