সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের

সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি © সংগৃহীত

জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ সোমবার (২৬ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাত দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ৬ষ্ঠ দিনের শেষ বেলায় এসে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: হেফাজতের আলটিমেটামের পর কলেজশিক্ষক নাদিরাকে বদলি, ফেসবুকে সমালোচনা

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ২১ মে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে সমগ্র বাংলাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন করা হবে। সমিতিতে অবস্থানরত এমআরসিএমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার মধ্যে একযোগে সকল রিডিং বই জমা দিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা বলছেন, টানা ছয়দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও এখন পর্যন্ত সরকারের কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

তাদের সাত দফা দাবি

১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।

২. ‘এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ’ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন।

৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।

৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।

৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে।

৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।