এমপিওর ফাইল অধিদপ্তরে পাঠানো নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক © ফাইল ছবি

শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির ফাইল অধিদপ্তরে পাঠানো নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন থেকে এ নির্দেশনা অনুসরণ করেই এমপিওর আবেদন পাঠাতে হবে। শনিবার (২৪ মে) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এইচ এম নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর আলোকে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য মাদ্রাসার প্রধান কর্তৃক প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক যাচাইপূর্বক হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। এমপিও সংক্রান্ত যাচাই বাছাই উপকমিটি এবং এমপিও কমিটি কর্তৃক নীতিমালার আলোকে প্রতিটি আবেদন যাচাই বাছাইপূর্বক অনুমোদন/বাতিল করা হয়। এমপিও আবেদন বাতিল হলে মন্তব্যে কেন বাতিল করা হলো তার কারণ উল্লেখ করা হয়।’

এতে বলা হয়, অধিকাংশ মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির দাখিলকৃত আবেদন প্রতিষ্ঠান প্রধান সঠিকভাবে যাচাই না করে এনটিআরসিএর ভুয়া নিবন্ধন সনদ ও ভুয়া সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের আবেদন বারংবার প্রেরণ করা হচ্ছে। এমনকি একই কারণে এমপিওর আবেদনটি বারংবার বাতিল হওয়ার পরেও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতিত কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান এমপিও প্রাপ্যতা নেই এমন ভুয়া ও জাল সনদধারী এবং অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আবেদন বারংবার প্রেরণ করছে। যার কারণে প্রতি মাসে এমপিওর আবেদন যাচাই কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।’

এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া গতিশীল ও স্বচ্ছ করার সুবিধার্থে নির্দেশক্রমে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
ক) ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সনদধারী শিক্ষকের নাম, সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম গরমিল থাকলে কিংবা দাখিলকৃত আবেদন যাচাইকালে কোন সন্দেহের উদ্রেক হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এনটিআরসিএ কর্তৃক যাচাইপূর্বক এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করতে হবে। উল্লেখ্য অধিদপ্তর কর্তৃক এনটিআরসিএ এর সনদ বা কাম্য যোগ্যতার সনদ ভুয়া/জাল মর্মে মন্তব্য প্রদান করে এমপিও আবেদন বাতিল করা হলেও উক্ত সনদ ও সুপারিশের সঠিকতা নিরুপণ না করে পুনরায় এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করা হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সাময়িক স্থগিতসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে মামলা দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হবে।

খ) মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি কর্তৃক এনটিআরসিএ এর আওতা বহির্ভূত পদসমূহে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। ভুয়া/জাল ডিজি প্রতিনিধির আদেশ সৃজন করে শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চাকরি হতে অপসারণসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড সাময়িকভাবে স্থগিত/ক্ষেত্রমতে স্থায়ীভাবে এমপিও বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে সুপারিশকৃত ও নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক- কর্মচারীদের যোগদানের তারিখ হতে দুই মাসের মধ্যে এমপিও আবেদনের ফাইল প্রেরণ করতে হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সাময়িক স্থগিতসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলের জন্য সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ বরাবর সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।

ঘ) অনলাইনে প্রেরিত এমপিওভুক্তির আবেদন বাতিলের কারণের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় সকল চাহিত তথ্য/ডকুমেন্টেস সংযোজনপূর্বক পুনরায় নতুন এমপিও ফাইল প্রেরণ করতে হবে।’