মেধাবীরাই পৃথিবী বদলেছে, মেধাবীরাই বাংলাদেশ বদলাবে: ইবি উপাচার্য
- ২৪ মে ২০২৫, ১৯:৫২
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, মেধাবীরাই পৃথিবী বদলেছে, মেধাবীরাই বাংলাদেশ বদলাবে। মেধাবীরা সমাজের অগ্রগামী শক্তি। তাদের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি ও উদ্ভাবনী দক্ষতা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এই মেধাবীরা যাতে আশাহত না হয় সেজন্য তাদেরকে যোগ্য সম্মান দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে।
আজ শনিবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ডিন'স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিন'স অ্যাওয়ার্ড পদক, সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় মোট ৮টি অনুষদের ৩৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইবি উপাচার্য বলেন, এই মেধার হিসাব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আজকের পরিবর্তিত বাংলাদেশ। মেধাবীদের সুযোগ করে দিতেই সেদিন সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। সে সংগ্রাম দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছড়িয়ে গিয়ে পরিণত হয়েছিল সাধারণ জনতার অভ্যুত্থানে। যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ হন।
তিনি আরো বলেন, মেধাবীদেরকে সেই আন্দোলনকে, সেই প্রাণ বিসর্জনকে সম্মান জানাতে হবে। ভুলে যাওয়া যাবেই না। তিনি মনে করেন, দেশ গঠনে, একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনে যথাযথ ভূমিকা পালন করে সার্থক, উন্নত দেশ গঠনে ব্রতী হয়েই তোমাদের এই সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
ডিনস কমিটির সভাপতি থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. অ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: মনজুরুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেমর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. অ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বেগম রোকসানা মিলি, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খোন্দকার তৌহিদুল আনাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেলিনা নাসরিন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: মনজুরুল হক, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আসাদুজ্জামান ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বাবলী সাবিনা আজহার।
প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, যে অবস্থায় পূর্বে এ দেশ ছিল সেখানে মেধার মূল্যায়ন তো অনেক দুরে, এই মেধাবী শব্দটিই আমরা ভুলতে বসেছিলাম। সেখান থেকে দেশ আজ উঠে গেছে। মাঝখানে হারিয়ে গেছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। সেই ঝরে যাওয়া প্রাণের বিনিময়ে তোমাদের এই মেধার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তোমাদের অঙ্গীকার করতে হবে। দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে, সেই দেশের উন্নয়নে তোমরা কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, তোমাদের মতো মেধাবীদেরকেই সমাজের অন্যায়, বৈষম্য ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে হবে।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের মেধাবী মানুষদের যথাযথ ভূমিকার উপর। মেধাবীদের এই ভূমিকা বিভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। মেধাবীরা নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা সমাজের সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান বের করে।দেশে নীতিনির্ধারক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক প্রভৃতি ক্ষেত্রে মেধাবী তৈরি করছি আমরা। ডিন'স এওয়ার্ডস একটি প্রাতিষ্ঠানিক অর্জন। এটি তোমাদের সম্মাননার প্রতীক। তোমাদের প্রতি প্রত্যাশা রাখি এই সম্মান যেন তোমরা জীবনের সকল ক্ষেত্রেও কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারো।