শুধু অভিনেতা নন, ছিলেন পাইলটও—পুলিশ কমিশনারের ছেলে মুকুলের অজানা জীবন
- ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮
মাত্র ৫৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউডের শক্তিশালী অভিনেতা মুকুল দেব। শুক্রবার (২৩ মে) গভীর রাতে দিল্লিতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রথম জানান বন্ধু ও সহ-অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। পরে দীপশিখা নাগপাল শোক জানিয়ে লিখেন, ‘মাত্র ৫৪ বছরে চলে গেল! এটা বিশ্বাস করা কঠিন, মুকস।’
তবে অভিনয়ই ছিল না মুকুলের একমাত্র পরিচয়। তিনি ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। বলিউড থেকে আঞ্চলিক সিনেমা সব জায়গায় সাবলীল অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন দক্ষ পাইলট। ভারতের ‘ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমি’ থেকে পাইলটের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
জানা গেছে, নয়াদিল্লিতে এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম নেওয়া মুকুলের বাবা হরি দেব ছিলেন দিল্লি পুলিশের সহকারী কমিশনার। পরিবার থেকেই তিনি সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি আগ্রহ পান। ছোটবেলা থেকেই তিনি নানা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হন। আফগান সংস্কৃতির প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ, আর পুশতু ও ফার্সি ভাষায় ছিল তাঁর দক্ষতা।
মুকুলের বলিউডে যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ‘দস্তক’ ছবি দিয়ে, যেখানে তিনি এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেন। সুস্মিতা সেনও একই ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ‘জয় হো’, ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’, ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’-এর মতো ছবিতে তিনি নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন। হিন্দির পাশাপাশি পাঞ্জাবি, মালয়ালি, গুজরাতি এবং বাংলা চলচ্চিত্রেও তিনি কাজ করেছেন।
পাইলট, ভাষাবিদ, সংস্কৃতিমনা এবং শক্তিশালী অভিনেতা মুকুল দেবের জীবন ছিল বৈচিত্র্যময় ও অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর চলে যাওয়া বলিউড তথা ভারতীয় সংস্কৃতি জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি।