পথ বদল করতে না দেওয়ায় বজ্রগর্ভে ঢুকে গেল বিমান, অতঃপর...
- ২৬ মে ২০২৫, ১২:৪৬
শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার কাছেও পথ বদলের অনুমতি চেয়েছিল ইন্ডিগোর শ্রীনগরগামী বিমান। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই মেঘের মধ্যে বিমান প্রবেশ করতে হয় পাইলটকে। ফলে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং সামনের দিকে ‘নাকের অংশ’ ভেঙে যায়।
আজ শুক্রবার (২৩ মে) বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানায় ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ। ওই বিমানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পেরেছে, সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল। বিবৃতিতে সে কথা জানানো হয়েছে। ডিজিসিএ-র বিবৃতি উদ্ধৃত করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে ভারত নতি স্বীকার করবে না: জয়শঙ্কর
জানা গেছে, বুধবার (২১ মে) ২০০-এর বেশি যাত্রী নিয়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগোর ৬ই২১৪২ বিমান। পথে খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয় বিমানটি। শ্রীনগরে অবতরণের সময়ে বিমানের ‘নাক’ ভেঙে যায়। কোনও রকমে বিমানটি অবতরণ করে শ্রীনগর বিমানবন্দরে।
ঘটনাচক্রে এই বিমানেই ছিল তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল। তবে বিমানের সব যাত্রী সুরক্ষিত আছেন। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তদন্ত করে দেখছে ডিজিসিএ।
তারা বিবৃতিতে বলেছে, শ্রীনগরে যাওয়ার পথে পঠানকোটের উপরে শিলাবৃষ্টি এবং তীব্র ঝড়ের মুখে পড়ে ওই বিমান। কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে ভারতীয় বায়ুসেনার নর্দার্ন কন্ট্রোলে পথবদলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বাঁ দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে সরতে চেয়েছিল বিমানটি। কিন্তু বায়ুসেনা অনুমতি দেয়নি। এরপর লাহোরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। খারাপ আবহাওয়া এড়াতে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা-ও খারিজ করে দেওয়া হয়।