মাদ্রাসার কমিটি গঠনে জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

মো. মাছুম আহমদ
মো. মাছুম আহমদ © সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন-সংক্রান্ত একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।

গ্রেপ্তার শিক্ষক মাওলানা মো. মাছুম আহমদ রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। তিনি বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার ও বাদে ভূকশিমইল গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে।

আজ শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে মাছুম আহমদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া একটি সরকারি পত্রের তারিখ এডিট করে ১০ নভেম্বর ২০২৪ দেখিয়ে সেটি মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়। ওই পত্রে আগে মনোনীত দুই সদস্যের নাম অপরিবর্তিত রেখে নির্বাহী কমিটি গঠনের চেষ্টা চালানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে পত্র জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাছুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: রাতে যে ১৮ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. মাছুম আহমদ একই সঙ্গে চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা ও বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বেতন নিচ্ছেন। চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসার ইনডেক্স নম্বর এম০০৫২৫২৯। বাদে ভুকশিমইল মাদ্রাসার ইনডেক্স নম্বর ২৩০১৮৪৪। একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে হতবাক শিক্ষক সমাজ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, তদন্তে জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিক্ষক মাছুম আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।