ঢাকা রেসিডেনশিয়াল কলেজে পরিবেশ-মনোবিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালা আগামীকাল
- ২৩ মে ২০২৫, ১৪:৩৯
পরিবেশ সংরক্ষণে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাহসী ও সময়োপযোগী এক উদ্যোগ নিয়েছে রেমিয়ান্স নেচার অ্যান্ড আর্থ ক্লাব (আরএনইসি) এবং ইয়ুথ অর্গানাইজেশন আর্থস অ্যান্টস। তারা যৌথভাবে আয়োজন করতে যাচ্ছে পরিবেশ-মনোবিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালা। যা আগামী ২৪ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।
এ কর্মশালায় অংশ নেবে ২৫০ জনের বেশি উদ্যমী শিক্ষার্থী, যাদের জন্য এটি হবে একটি বাস্তবভিত্তিক পরিবেশ-সচেতনতা ও নেতৃত্ব তৈরির অনন্য অভিজ্ঞতা।
এই কর্মশালাটি শব্দ দূষণ, পরিবেশগত মনোবিজ্ঞান এবং পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস সংস্কৃতি এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এবং পরস্পর-সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘ইন্টিগ্রেটেড ও পার্টনারশিপ প্রজেক্টস টু কন্ট্রোল নয়েজ পলিউশন’ প্রকল্পটি শব্দ দূষণ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করবে, যেখানে শব্দ দূষণের স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রায় প্রভাব তুলে ধরা হবে।অন্যদিকে, আর্থস অ্যান্টস শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করবে পরিবেশ-মনোবিজ্ঞান ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মশালা।
কর্মশালায় থাকছে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত সেশন, ইন্টারঅ্যাকটিভ লার্নিং মডিউল এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক কুইজ রাউন্ড। কুইজের বিজয়ীদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার আর অংশগ্রহণকারী সবাই পাবেন সার্টিফিকেট ও পরিবেশবান্ধব উপহার, যা তাদের পরিবেশগত দায়িত্ববোধের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে।
এ কর্মশালাটি তরুণদের টেকসই উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে, যা পরিবেশগত সমস্যার গোড়ায় গিয়ে সমাধান করতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
রেমিয়ান্স নেচার অ্যান্ড আর্থ ক্লাবের সভাপতি টি. এম. সামস তাবরিজ আকিব বলেন, ‘পরিবেশগত দায়িত্ববোধ শুরু হয় সচেতনতা দিয়ে এবং তা পরিপূর্ণতা পায় কাজের মাধ্যমে। পরিবেশ-মনোবিজ্ঞান কর্মশালার মাধ্যমে আমরা এমন এক প্রজন্ম তৈরি করতে চাই, যারা চিন্তা করবে গভীরভাবে এবং সাহসিকতার সঙ্গে পৃথিবীর জন্য কাজ করবে।’
আর্থস অ্যান্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে ঢাকার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে পরিবেশগত মনোবিজ্ঞান ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস সংস্কৃতি নিয়ে এই ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে পারছি। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের বোঝানো যে, তাদের চারপাশের পরিবেশ কীভাবে তাদের মানসিকতায় প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে তারা নিজেরা একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়তে পারে। আমরা চাই, আমাদের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ুক।’
জলবায়ু সংকট যতই জটিল ও তীব্র হয়ে উঠছে, ততই প্রয়োজন হচ্ছে এমন উদ্যোগের। যেখানে শিক্ষা, সহানুভূতি ও ইকোসিস্টেম ভাবনা একত্রে কাজ করে স্থায়ী প্রভাব তৈরি করতে পারে। শিক্ষার্থীদের গভীরভাবে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে “Minds & Bins” কর্মশালা দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবেশ শিক্ষার এক মডেল হিসেবে উদাহরণ স্থাপন করেছে।