পদ্মা নদীর বালু মহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২
- ২৪ মে ২০২৫, ০৮:৫৪
পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর বালুমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব নওদাপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন (৪৫), পাকশীর রূপপুর বিবিসি বাজার এলাকার চপল সরদার (২৭), চররূপপুরের রেজাউল হক ওরফে লালু, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার শওকত ইসলাম, গোলাপনগর বাঙালপাড়ার রিপন হোসেন ও ফকিরাবাদ গ্রামের মো. সানাউল্লাহর নাম জানা গেছে। গুরুতর আহত সেলিম হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাঁড়া এলাকার পদ্মা নদীতে বালুর ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে কুষ্টিয়ার মো. কাকন ও ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার উভয়পক্ষ পদ্মার চরে মহড়া দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাকনের অনুসারীরা কয়েকটি ট্রলারে করে এসে চরের বালুমহাল দখলের চেষ্টা করলে টনি বিশ্বাসের লোকজন তাদের প্রতিরোধ করে। এরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ছাত্রদের হলে ছাত্রীর প্রবেশ, তদন্তে কমিটি
টনি বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে বালুর খাজনা আদায় করছি। প্রতিপক্ষ কাকনের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এতে বাধা দিয়ে আসছে। হঠাৎ করে ট্রলারে করে এসে হামলা চালায় ও গুলি ছোড়ে তারা। আমার অন্তত ১০-১২ জন লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ।’ তিনি এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
অপরদিকে কাকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। লক্ষ্মীকুন্ডা নৌপুলিশের ওসি ইমরান মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত বালুর ইজারা ও খাজনা আদায় নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।’