প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত করেই প্রেসক্লাব ছাড়বে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা

পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য তার কার্যালয়ের অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি করতে চাইলে কদম ফোয়ারার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধা দেয় পুলিশ। ফলে পণ্ড হয়ে গেছে তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। এরই প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পাওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সারাদেশের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিও’র দাবীতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য তার কার্যালয়ের অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করা হয়। কিন্তু পুলিশ কদম ফোয়ারার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধা দিলে তারা সেখানে অবস্থান নেন।। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের জানিয়েছে, কয়েক বছর যাবত শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবীতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবিক আবেদন জানিয়ে আসছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব এসে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবী মেনে নিয়েছেন, অনশন ভেঙ্গে আপনাদেরকে প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছেন’। পরবর্তীতে চলমান অনশন কর্মসূচিতে ১১ জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়। ওইদিন বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনশনরত অবস্থায় জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, রাশেদা কে চৌধুরী, তারেক জিয়া উদ্দিন এসে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবী অবশ্যই পূরণ করবেন। আপনারা অনশন ভেঙ্গে বাড়ি ফিরে যান’। তখন আমরা সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ী ফিরে যাই।

পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে এমপিওভূক্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করেন। কিন্তু অজানা কারনে এখনও এ বিষয় সুস্পষ্ট কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই শিক্ষকদের বাঁচা-মরার এই যৌক্তিক ও মানবিক আবেদন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী’ই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য আজ শিক্ষক-কর্মচারীরা এই পদযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 

আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে তাদের বঞ্চনা-দুর্ভোগের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে পারলে, তিনি দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একযোগে এমপিওভুক্ত করে তাদেরকে এই অনিশ্চয়তা থেকে অবশ্যই মুক্ত করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে তানা জানান।