সাম্য হত্যার বিচার ও ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বিন ইয়ামিন মোল্লা
- ২২ মে ২০২৫, ০৭:১৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার এবং ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন ও দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়াসহ তিন দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। আজ বুধবার (২১ মে) দুপুরের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের এই ছাত্রের তিন দাবির অপরটি হলো ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো।
কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। একাত্মতা প্রকাশ করে জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আমাদের দাবি পরিষ্কার, প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল যে ১৫ মে এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে কিন্তু তারা তা এখনো করেনি। সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। কথা দিয়ে তারা কথা রাখেনি। আমরা প্রশাসনের কাছে আহ্বান করবো আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করুন এবং তফসিল ঘোষণা করুন।
তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পাসে আমরা এখন করুণ নিরাপত্তা সংকট লক্ষ করছি। যদি ডাকসু নির্বাচন হয় এবং নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে নিরাপত্তা সংকট থাকবে না। সেই সাথে সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনশনের একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ডাকসু ছিল আমাদের প্রাণের দাবি। কিন্তু বিভিন্ন টালবাহানা করে ডাকসুকে পেছানোর পাঁয়তারা করছে একটি গোষ্ঠী। এটা কখনোই হতে দেওয়া হবে না। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক যে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে তা ছাত্র সংসদগুলো সচল হলে অর্ধেকটা কেটে যাবে। শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না একই সাথে সব সমস্যা ও সংকট কাটবে না। এজন্য ছাত্রসংসদ জরুরি। একই সাথে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাই শহীদ সাম্যের হত্যার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই এবং সংকট মোকাবিলায় ডাকসুকে কার্যকর করার আহ্বান জানাই।
অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, তিন দাবিতে আমরণ অনশন বলেন বসেছি। সাম্য হত্যার মূল কালপ্রিটদের এখনো ধরা যাচ্ছে না যা হতাশাজনক। গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস হয়ে গেলো, চলতি মে মাসের প্রথমার্ধের ভিতরে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ এর কথা থাককেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল একজনের বক্তব্য শুনলাম ডাকসু নাকি এখন ওনাদের মূল চিন্তার বিষয়ে নেই। ছলচাতুরী করে ডাকসুকে বানচাল করার আভাস দেখতেছি।। ৯৬% শিক্ষার্থী তো নির্বাচন চায় তাহলে বাধা দিচ্ছে কে?