সচিবালয়ের সামনে থেকে আবেদনবঞ্চিত ১৭তম নিবন্ধনধারীদের সরিয়ে দিল পুলিশ
- ২৯ মে ২০২৫, ১১:১৫
সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতদের সড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে এদিন বেলা ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দুই নম্বর গেটে অবস্থান নেন ভুক্তভোগীরা।
আন্দোলনরতদের অন্যতম সমন্বয়ক ইউসুফ ইমন জানান, ‘পুলিশ আমাদের জোর করে সড়িয়ে দিয়েছে। করোনার প্রকৃত ভুক্তভোগী আমরা। একটি বার আবেদনের সুযোগ দাবিতে কয়েকবছর ধরে আন্দোলন করছি। তবে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। আমরা এখনো সচিবালয়ের আশপাশেই অবস্থা করছি।’
আন্দোলরত ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা জানান, ১৭তম ব্যাচের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তী সময়ে করোনা মহামারি ও এনটিআরসিএ দাপ্তরিক কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত মোট ৪ (চার) বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এমতাবস্থায় ১৭তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের নিমিত্তে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই সময়ক্ষেপণের (যা ৭৩৯ জন আওতার বাইরে ছিল) বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়নি। অথচ সনদের মেয়াদ তিন বছর থাকা সত্ত্বেও একবার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ছাড়া এনটিআরসিএ করোনার প্রকৃত ভুক্তভোগী বিষয়টি বিবেচনা করে ১৭তম আবেদনবঞ্চিতরা গত বছরের ১৪ মার্চ ও ৭ আগস্ট বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবার আইনি জটিলতা সাপেক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টার সম্মতিক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং এর জন্য পাঠায়। পরবর্তী সময়ে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত অনুবিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবার নীতিগত সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৭ মার্চ এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ থেকে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে রূপরেখা চায়। কিন্তু আইনি মতামতে উল্লেখ আছে যে, আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী, সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সাপেক্ষে এবং করোনা মহামারির মতো পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ১৭ ব্যাচের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারিত হবে, সে বিষয়ে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এরপরও আমাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটি অন্যায়।