তামিমের ঝোড়ো ফিফটিতে রেকর্ড সংগ্রহ বাংলাদেশের
- ২১ মে ২০২৫, ২১:৩৯
পাওয়ার প্লেতে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত গড়েছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে এদিন তাণ্ডব চালান তামিম। এই ওপেনারের ঝোড়ো ফিফটিতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন বুনে লাল-সবুজেরা। এরপর শান্ত-লিটন-হৃদয়রাও একই পথ অনুসরণ করেছেন। এতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথমবারের মত দুই শ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ২৪ ম্যাচ পর দলীয় দুই শ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২১১ রান করেছিল টাইগাররা।
সোমবার (১৯ মে) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান জড়ো করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমনের অভাবটা মোটেই বুঝতে দেননি তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলেন তিনি।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরিও ছুঁয়ে ফেলেন। ষষ্ঠ ওভারে স্পিনার হায়দারকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন এই ওপেনার। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটি তার চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি।
তবে পাওয়ার প্লেতে রেকর্ড গড়ে ফিফটি স্পর্শ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি তামিম। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রানে থামেন তিনি। দশম ওভারের প্রথম বলে মতিউল্লাহর মুঠোবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
এই ওপেনার আউট হওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমে বাংলাদেশের। আর ১০ ওভারে একশ স্পর্শ করে দলীয় সংগ্রহ।
দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটির ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন–নাজমুলও। সাবলীল ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক হিসেবে নিজের সর্বোচ্চ রানও ছাপিয়ে যান লিটন। তবে ইনিংসের ১৩তম ওভারে জাওয়াদউল্লাহকে ডিপ মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ৩২ বলে ৪০ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।
এরপর ঝোড়ো ইনিংসের আভাস দিয়ে ৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন জাকের আলি অনিক। মাঝে ১৯ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ রানের ইনিংস সাজান সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শেষদিকে তাওহীদ হৃদয়ের ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস সফরকারীদের দুই শ ছাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।
আমিরাতের হয়ে ৪৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন জাওয়াদউল্লাহ। এছাড়া ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন অভিষিক্ত সগীর খান।