আগস্ট-অক্টোবরেই নির্বাচন হতে পারে, ডিসেম্বরে কেন যেতে হবে: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী © সংগৃহীত

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অযথা সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হচ্ছে, দেশ তত বেশি অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে। তার প্রশ্ন—‘নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কেন? আমি তো দেখি, এখনই ভোট নেওয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরেই নির্বাচন হতে পারে।’

রবিবার (১৮ মে) রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, ‘জাতি এখন গভীর শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। কেউ জানে না দেশ কোন পথে যাচ্ছে। আমরা সবাই মিলে একদা স্বৈরাচার পতন ঘটিয়েছিলাম, গণতন্ত্রের প্রত্যাশা ছিল—কিন্তু তা আজও পূরণ হয়নি।’

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা এমনভাবে কাজ করছে যেন একটি বৈধ, নির্বাচিত সরকার। অথচ এই সরকার অন্তর্বর্তীকালীন। তাদের মূল দায়িত্ব ছিল অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘এই সরকার এখন করিডোর, বন্দর বা বিনিয়োগ সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, তাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়?’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আদালতের রায় মানা না হলে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কাদের স্বার্থে কাজ করছে, সেটিও আজ প্রশ্নের মুখে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে সংস্কার ও ঐকমত্যের কথা। কিন্তু সেই ঐকমত্য কোথায়? কার সঙ্গে হচ্ছে ঐক্য? জনগণ তো কিছুই জানে না।’

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি করার ওপর জোর দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা একটি স্থিতিশীল ও সহনশীল রাজনীতি চাই। সংঘাতমুখী রাজনীতি আমাদের লক্ষ্য নয়। কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তার বিরোধিতা করব।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনগুলো যেন নিয়মিত, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়, সেটাই প্রত্যাশা। সরকার আজ জনগণের আস্থা হারাচ্ছে, যা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় জানিয়েছে, লিখিতভাবেও তা দাখিল করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন—সরকার নাটক কেন করছে? মানুষ এসব প্রশ্ন তুলছেই।’