নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি চবি ছাত্রদলের

আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি চবি ছাত্রদলের
আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি চবি ছাত্রদলের © টিডিসি ফটো

নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠন এবং দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদল। রবিবার (১৮ মে) সংগঠনের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপিতে এ দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো- দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনের নিশ্চয়তা দিতে পর্যাপ্ত নতুন হল নির্মাণ করার কার্যক্রম দ্রুততম সময়ে হাতে নেওয়া, হল নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত হারে মাসিক আবাসন ভাতা চালুর মাধ্যমে তাদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব করা, বর্তমানে কার্যরত হলগুলোর সংস্কার ও আবাসন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বিদ্যমান ছেলেদের নতুন দুটি হলের পূর্ণাঙ্গ শতভাগ আসন বরাদ্দ নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, শহীদ ফরহাদ ও অতীশ দীপঙ্কর হলে আসন বরাদ্দ পাওয়ার পরও হলে উঠতে না পারা এবং সঠিকভাবে আবেদন করার পরও আইসিটি সেলের ত্রুটির কারণে আবেদন গৃহীত না হয়ে সিট বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হওয়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে হলে উঠার প্রক্রিয়া দ্রুততর করা এবং বিগত সময়ের সকল প্রশাসনিক দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করা। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি স্বনামধন্য স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলায় সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২৩ হাজার একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে ৯টি অনুষদের অধীনে ৫২টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। শিক্ষা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই এটি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার কথা থাকলেও বর্তমানে আবাসন সুবিধার চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য। বাকিরা নিরুপায় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ভাড়া, নিরাপত্তাহীনতা, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে। শহর থেকে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে, যা শিক্ষাজীবন, মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে একটি নিরাপদ, সুষ্ঠু ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়নে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানায় চবি ছাত্রদল।